আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ।
আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ |
আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খিলাফত পতনের সময় আল মুসতাকফির দুর্বলতা ও অকর্মণ্যতার সুযোগে আজাদ-উদ-দৌলা বাগদাদে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। তার আজাদ-উদ-দৌলা এতোই ক্ষমতাধর হন যে, খুৎবায় খলিফার নামের সাথে তার নাম উচ্চারিত ও মুদ্রায় নাম অঙ্কিত করা হয়।
আজাদ-উদ-দৌলা প্রকৃত ক্ষমতাসীন ছিলেন। খলিফা ছিল তার আশ্রিত মাত্র এবং তিনি দৈনিক রাজকোষ থেকে ৫০০ দীনার বৃত্তিপ্রাপ্ত হতেন। নিম্নে আজাদ-উদ-দৌলার বাগদাদে শাসননীতি তুলে ধরা হলো :
→ আজাদ-উদ-দৌলার বাগদাদ শাসননীতি : নিম্নে আজাদ- উদ-দৌলার বাগদাদ শাসননীতি আলোচনা করা হলো :
১. শিয়াদের ক্ষমতা বৃদ্ধি : আজাদ-উদ-দৌলা মূলত শিয়া ধর্মাবলম্বী ছিলেন। এর ফলে তার শাসনামলে শিয়াদের ক্ষমতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে ।
২. উজিরের পদ সৃষ্টি : আব্বাসীয়রা যদি তাদের স্বর্ণযুগে পারস্যের অনুকরণে উজির পদ প্রবর্তন করেন। কিন্তু আব্বাসীয়রা. অধিকাংশ উজির ছাড়াই চলতো। আর বুয়াইয়া শাসক মুইজের শাসনামলে উজির ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু।
৩. দাইলামি সৈন্যবাহিনী প্রতিষ্ঠা : নতুন বুয়াইয়া শাসককে বাগদাদে দৃঢ়ভাবে থাকতে হলে অসংখ্য সৈন্যবাহিনী/ প্রয়োজন ছিল। এজন্য খলিফা অনুপ্রাণিত হয়ে দাইলামি সৈন্য নিয়োগ দেন। অবশিষ্ট ইরাকী অঞ্চলে তার শাসনের বিস্তৃতি ঘটাতে পুরনো সৈন্যবাহিন ব্যবহার ছিল যুক্তিসঙ্গত। এজন্য তিনি দাইলামি সৈন্যবাহিনী গঠন করেন।
৪. নতুন ইকতা ব্যবস্থা প্রবর্তন : আব্বাসীয় পরিবার ও তাদের স্বজনদের সকল ভূসম্পত্তি বুয়াইয়াদের সরকার অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করেন । সৈন্যবাহিনীর বেতন ও প্রান্তিক সুবিধাদি হিসেবে ভূমি মঞ্জুরির ব্যবস্থা করেন । এভাবে ইকতা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
৫. মুইজ-উদ-দৌলার পররাষ্ট্রনীতি : মুইজ প্রথম থেকে শান্তিপুর্ণ বৈদেশিক নীতি অবলম্বন করেন। মিশর অথবা বাইজান্টাইনের কোনোরকম সংঘর্ষ এড়ানোই ছিল মুইজের পররাষ্ট্রনীতি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আজাদ-উদ-দৌলার বাগদাদে শাসননীতি ছিল নিজ পরিবার ও প্রশাসনকে এর ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা । সাম্রাজ্যের সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য তিনি দৃঢ় রীতি গ্রহণ করেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আজাদ উদ দৌলার বাগদাদ পরিচালনা নীতি সম্পর্কে লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।