Androgynous' বা উভয় লিঙ্গ ভিত্তিক সমাজের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো Androgynous' বা উভয় লিঙ্গ ভিত্তিক সমাজের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ‘Androgynous' বা উভয়লিঙ্গভিত্তিক সমাজ সম্পর্কে লেখ।
Androgynous' বা উভয় লিঙ্গ ভিত্তিক সমাজের পরিচয় দাও |
Androgynous' বা উভয় লিঙ্গ ভিত্তিক সমাজের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ষাট-সত্তর এর দশকে জন্ম নেওয়া আমূল নারীবাদ নারীর প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়নের অবসান কল্পে পিতৃতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান,পরিবার ও সমাজের বাইরে গিয়ে এমন এক সমাজ ব্যবস্থার ধারণা প্রবর্তন করে যা ‘Androgynous' বা ‘উভলিঙ্গ সমাজ' নামে পরিচিত।
মূলত নারীকে পিতৃতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বাইরে এনে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য তৈরিকৃত সমাজ। পরিকল্পনাই উভলিঙ্গভিত্তিক সমাজ। এখানে নারী ও পুরুষের শারীরবৃত্তীয় পরিচয় মুখ্য নয় বরং উভয়ের মানুষ পরিচয় মুখ্য ।
→ উভয়লিঙ্গ সমাজ : গ্রিক শব্দ 'অ্যানড্রোস' (পুরুষ) এবং ‘জিনিস' (নারী) সমন্বয়ে গঠিত এই নারীবাদী শব্দটি দিয়ে এমন মানুষের কথা বলা হয় যার মধ্যে সনাতনী জেন্ডার নির্মাণ দিয়ে আদলা করা মেয়েলি ও পুরুষালি গণের সমন্বয় ঘটেছে ।
ভার্জিনিয়া উপলক্ষ ছাড়াও আরও অনেক নারীবাদী তাত্ত্বিক এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছেন যেখানে নারী ও পুরুষের ভূমিকায় কোনো ভিন্নতা নেই। যেখানে প্রত্যেকেই মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশের সুযোগ পাবে।
বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীতে ‘আন্ড্রোজেনাস' দেব- দেবীর কল উপস্থিতি কাহিনী বিদ্যমান। হিন্দু পুরাণের অর্ধনারীশ্বর থেকে মিশরের চন্দ্রদেবী আইসিসনেট, গ্রিসের আর্টেমিস আর ইরোস, চীনের তাই ইউয়ান, বা নেটিভ আমেরিকানদের ‘আওনাউইলোনা' সবার মধ্যেই নারী ও পুরুষের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ।
এমনকি “মিদরাশ' ও ‘বাইবেলেও’ ‘Androgynous' চরিত্রের সমর্থনে বন্ধে আছে। এই ‘Androgynous’ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রত্যয়। মনোবিজ্ঞানী ‘স্যান্দো বেম’ তাঁর প্রণীত জেন্ডার ভূমিকা নিরূপণের নতুন মাপকাঠি ‘বেম সেক্স রোল' ইনভেনটরির সাহায্যে দেখিয়েছেন যে,
‘Androgynous' বৈশিষ্ট্যের মানুষদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে চলার দক্ষতা-ক্ষমতা বেশি। এ ধরনের মানুষেরা তাদের কর্ম ও সামাজিক জীবনে অন্যান্যদের তুলনায় বেশি সফলতা পায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ‘Androgynous' সমাজ হলো এমন এক সমাজ ব্যবস্থা যেখানে পুরুষের পিতৃতান্ত্রিক ও নারীর অধস্তন মনোভাব কোনটাই থাকবে না। এই সমাজে উভয়ে সম অধিকার ও মানসিকতাসম্পন্ন হবে। কেউ কারও উপর হস্তক্ষেপ নয় বরং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যই হবে এই সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ‘Androgynous' বা উভয়লিঙ্গভিত্তিক সমাজ সম্পর্কে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ‘Androgynous' বা উভয়লিঙ্গভিত্তিক সমাজ সম্পর্কে ধারণা দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।