অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন ।
অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন |
অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন
- অথবা, অগাস্ট কোঁৎকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : অগাস্ট কোঁৎকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। কারণ তিনি সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানকে একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলেন।
তিনিই সর্বপ্রথম Sociology শব্দটি উদ্ভাবন করেন। তাঁর চিন্তাচেতনা ও দর্শন সমাজ জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করে। সমাজবিজ্ঞানে তার অবদান অপরিসীম।
→ সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অগাস্ট কোঁৎ : যেসব কারণে অগাস্ট কোঁৎকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় তা হলো :
১. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনার সূত্রপাত : অগাস্ট কোঁৎ ছিলেন ফরাসি দার্শনিক। অতীতে সমাজবিজ্ঞান ছিল সমাজের বিজ্ঞান । কিন্তু তখন এটি বিজ্ঞানসম্মত ছিল না।
অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানসম্মত শাখা হিসেবে আলোচনা করেন। তিনি ১৭৯৮-১৮৫৭ পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞানে সেবা করেন ।
২. আদিগুরু হিসেবে : সমাজবিজ্ঞানের তিনি ছিলেন আদিগুরু অর্থাৎ সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে পরিচিত করে তোলেন । তাই তাকে সমাজবিজ্ঞানের আদিগুরু বলা হয়।
৩. Sociology শব্দটির ব্যবহার : অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম Sociology শব্দটির ব্যবহার করেন। তিনি এটির জন্ম দেন। ল্যাটিন শব্দ Socious ও গ্রিক শব্দ Logos এর সমন্বয়ে গঠিত হয়।
Socious শব্দের অর্থ সমাজ আর Logos শব্দের অর্থ বিজ্ঞান । অর্থাৎ Sociology শব্দের অর্থ সমাজের বিজ্ঞান।
৪. গ্রন্থ রচনা : সে যুগে অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। তার অন্যতম গ্রন্থ হলো Positive philosophy ও Polity। এই গ্রন্থটিতে তিনি সমাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা আলোচনা করেন ।
৫. নামকরণ প্রদান : সমাজবিজ্ঞানের সর্বপ্রথম নামকরণ করেন অগাস্ট কোঁৎ। তিনি সমাজবিজ্ঞানকে Science of society বলেন । তিনি এই নামকরণ করেন ১৮৩৯ সালে ।
৬. Scientific method : অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞান উৎপত্তির ক্রমবিকাশকে Sciencetific method দ্বারা ব্যাখ্যা করেন। এই method সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলেন। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞানের জনক ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায যে, অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে উপস্থাপন করেন । সমাজবিজ্ঞানকে একটি আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলেন।
তাঁর অবদান সমাজ বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে তার যে অবদান, তা বিচার করে একথা বলা যায় যে, অগাস্ট কোঁৎ-ই সমাজবিজ্ঞানের জনক ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।