আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল।
আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল |
আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীনকাল থেকে নারী-পুরুষ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতাকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে । একে অপরের সহযোগিতায় পারস্পরিক বসবাস করে আসছে।
বলা হয়ে থাকে নারীরাই আগে দাসত্বের বন্ধন স্বীকার করেছিল। মানুষ যে যুগে যাযাবর ছিল তখন বা তারও আগে নারীরা দাসত্বের বশ্যতা স্বীকার করেছিল। পরিবারের অনেক দায়িত্ব নারীদের হাতে ছিল ।
→ আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান : আদিমকাল থেকে সমাজ বিবর্তনের পরিক্রমায় আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর অবস্থান ছিল পরাধীনতা আবদ্ধ। বিভিন্ন স্তরে নারীর অবস্থান পরিবর্তিত হয়। নিম্নে আদিম সাম্যবাদী সমাজে নারীর অবস্থান তুলে ধরা হলো :
১. কৃষি ও পশু পালন : ধারণা হয় যে, আদিম যুগে কৃষি উদ্ভাবনের পিছনে নারীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেই সময়ে নারীদের কাজ ছিল বাড়িতে, আর পুরুষরা অনেক দূরে গিয়ে শিকার করত এবং ফলমূল সংগ্রহ করত।
নারীরা বাড়িতে সেগুলো ফলমূলের বীজ বাড়ির আশেপাশে রাখত এবং এক পর্যায়ে সেখান থেকে গাছ হয়ে আবার ফল হতো। এভাবে নারীদের পরিচর্যায় কৃষির উদ্ভব ঘটে। এর পাশাপাশি সন্তান লালন-পালন এবং পরিবারের দেখাশুনা করত।
এর পাশাপাশি তারা পশুপালন করত । যার কারণে এই সময়ে নারীরা পুরুষের সমকক্ষ ছিল । নারীরা পুরুষদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে।
২. দাস যুগ : দাসযুগে নারীদের অবস্থা ভালো ছিল না। তাদের কোনো মূল্যায়ন ছিল না। এই সময়ে নারীদের পণ্যে রূপান্তর করে বাজারে বিক্রি করা হতো। এই যুগে কন্যাসন্তানের কোনো মূল্য ছিল না। কন্যাসন্তান জন্ম দিলে তাকে মেরে ফেলা হতো।
এমনকি কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়াও অন্যায় ছিল । এই সময়ে অন্য গোত্র থেকে নারীদের জোর করে তুলে এনে তাদের কাজের মানুষ বানাত, আবার ইচ্ছামত ব্যবহার করত। নারীরা পুরুষের ভোগ পণ্যে পরিণত হয়েছিল।
৩. সামন্ততান্ত্রিক যুগ : এটি দাস যুগের পরের যুগ। এই সময়ে নারীদের অবস্থা ভালো ছিল না। নারীরা পুরুষের অধীন ছিল। নারীদের কাজ ছিল সন্তান লালন-পালন এবং গৃহের কাজ করা।
নারীদের আলাদা কোনো অধিকার ছিল না। তাদের কোনো ক্ষেত্রে সমান মূল্যায়ন করা হতো না। নারীরা সমাজে বোঝা ছিল। তারা যেন সব ক্ষেত্রে পুরুষের উপর নির্ভরশীল ছিল।
৪. পুঁজিবাদ : মনে করা হতো যে, পুঁজিবাদী যুগে এসে নারীদের মুক্তি হবে। নারীরা অর্থ উপার্জন করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত লক্ষ্য করা যায়।
পুঁজিবাদী যুগে এসে নারীদের পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। নারী বিপণনের সামগ্রী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তাদের আইনগত সমান অধিকার দেয়া হয় না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আদিম সাম্যবাদী সমাজে নারীকে সমাজে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো না। তারা সব সময় পুরুষের অধীন ছিল। তাদের সব ধরনের সিদ্ধান্ত পুরুষরা নিত ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আদিম সাম্যবাদী যুগে নারীর অবস্থান কেমন ছিল। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।