আবু মুসলিম খোরাসানী যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও ।
আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও |
আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও
উত্তর : ভূমিকা : উমাইয়া ও আব্বাসীয় বংশ ছিল কুরাইশ বংশের দুটি শাখা ৷ ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে জাবের যুদ্ধের মাধ্যমে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয়দের উত্থান ঘটে। উত্থান-পতনের এ যুগসন্ধিক্ষণ আরব ইতিহাসের এক কৌতূহলোদ্দীপক ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
উমাইয়াদের নৈতিক অধপতন ও কুশাসন আব্বাসীয় আন্দোলনে পথ তৈরি করে দেয় অথবা বলা যায় আব্বাসীয় আন্দোলন নীতি বিচ্যুত উমাইয়াদের পতন ঘটায়। আর আব্বাসীয় আন্দোলনে আবু মুসলিম খোরাসানীর একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল ।
১. আব্বাসীয়দের পরিচিতি : আব্বাসীয়গণ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-এর বংশধর। হজরত আব্বাসের পুত্র ইবনে আব্বাস অত্যন্ত ধর্মভীরু ও প্রখ্যাত হাদিসবেত্তা হিসেবে পরিচিত।
তাঁর মৃত্যুর পর তার পুত্র আলী আব্বাসীয় পরিবারের প্রধান হন। আলীর পুত্রের নাম ছিল মুহাম্মদ। মুহাম্মদের তিন পুত্র- ইব্রাহিম, আব্দুল্লাহ, আবুল আব্বাস ও আব্দুল্লাহ আবু জাফর।
এ আবুল আব্বাস ও আবু জাফরই পরবর্তীকালে আবুল আব্বাস আস সাফফাহ ও আবু জাফর আল মনসুর নামে পরিচিত হয়ে যথাক্রমে আব্বাসীয় বংশের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফা হন।
২. আব্বাসীয় আন্দোলন : ৭৩৫ খ্রিস্টাব্দে আলীর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মুহাম্মাদ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মুহাম্মদ অতিশয় ক্ষমতাসম্পন্ন ও উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি ছিলেন।
তিনিই আব্বাসীয় আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। সর্বপ্রথম তিনি খিলাফত দখলের পরিকল্পনা করেন। খিলাফতে তাঁর বংশের দাবির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রমাণের জন্য সর্বসাধারণের সামনে একটি সূত্র তুলে ধরেন ।
৩. প্রচারণা : মুহাম্মদ বিন আলী এভাবে নিজ দাবির সপক্ষে সমর্থন বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন। মুয়াবিয়ার ধূর্ততা, শঠতা, শর্তভঙ্গ এবং ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ, কারবালায় ইমাম হুসাইনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড মুসলমানগণকে উমাইয়াদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে।
মাওয়ালী, খারিজী ও শিয়া সম্প্রদায় উমাইয়াদের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে এবং উমাইয়া শাসনের অবসান কামনা করে। হাজাজ বিন ইউসুফের কঠোর শাসন ও নিষ্ঠুরতার জন্য ইরাক লোকজন বিশেষ করে খোরাসানি ও পারস্যের মাওয়ালীরা উমাইয়া শাসনের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে।
উমাইয়াদের বিলাসবহুল আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রা মদ ও নারীর প্রতি আসক্তি সুন্নি মুসলমানদের মনেও তাদের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক করে ।
৪. গুপ্ত সমিতি ও দল গঠন : উমাইয়াদের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য মুহাম্মদ বিন আলী এ সময় গুপ্ত সমিতি ও দল গঠন করেন। এসমস্ত দলে শিয়া-খারিজী এবং আব্বাসীয়রা সক্রিয় ছিল। প্রচারণা বিভিন্ন দিকে বিস্তার লাভ করে।
গুপ্ত দলের প্রতিনিধিরা বণিকের ছদ্মবেশে বা হজ যাত্রীদের ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে গোপনে প্রচারণা চালাতে থাকে। এসমস্ত প্রতিনিধিদের কাজ তদারকের জন্য ৭০ জনের একটি সিনেট গঠন করা হয়।
সিনেটের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতো ১২ জনের দ্বারা গঠিত একটি পরিষদ বা নকীব। এ পরিষদের প্রধান কর্তা ছিলেন ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী। এভাবে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে আব্বাসীয় আন্দোলন সর্বজনীন আন্দোলনের রূপ লাভ করে ।
৫. প্রবল আন্দোলন : খলিফা হিশামের মৃত্যুর পর আব্বাসীয় আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে উঠে। এ আন্দোলন খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ানের সময়ে প্রবল আকার ধারণ করে। এসময় ৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ-বিন-আলীর মৃত্যু হয়।
এরপর তাঁর পুত্র ইব্রাহিম আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন। মুহাম্মদ জীবিত | অবস্থায় তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র ইব্রাহিমের প্রচারকার্যে সাহায্যের জন্য আবু মুসলিম নামক একজন আরব বংশোদ্ভূত ইস্পাহানবাসীকে নিযুক্ত করেন।
ইব্রাহিম তার সাংগঠনিক ক্ষমতা, শিষ্টাচার, বাগ্মিতা ও সৌজন্যবোধে অত্যন্ত প্রীত হয়ে তাকে খোরাসানে আব্বাসীয় প্রচারণা ও জনমত গঠনের জন্য প্রেরণ করেন।
৬. খোরাসানে আবু মুসলিমের বিদ্রোহ : ধৈর্যশীল সংযমী, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন আবু মুসলিমের তৎপরতা ও সাংগঠনিক প্রচারণাই উমাইয়া বংশের পতনের অন্যতম কারণ। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে খোরাসানে উমইয়া বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়।
আব্বাসীয় গুপ্ত প্রতিনিধি এবং প্রচারক নিযুক্ত করে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হন। ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে আবু মুসলিম খোরাসানে আব্বাসীয়দের পক্ষে কালো পতাকা উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
সর্বদলীয় আব্বাসীয় সংঘবদ্ধ আব্বাসীয় বাহিনী আবু মুসলিমের নেতৃত্বে খোরাসানের রাজধানী মার্ভ অধিকার করে ।
৭. সমগ্র খোরাসান অধিকৃত : আবু মুসলিমের প্রাণস্পর্শী বক্তৃতায় বহুলোক তার পতাকাতলে সমবেত হয় এবং উমাইয়া শাসনের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালিত হয়।
খোরাসানের উমাইয়া শাসনকর্তা নসর বিন-সাইয়ার এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরে খলিফার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন।
খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান ইরাকের শাসনকর্তাকে একদল সৈন্য প্রেরণ করার আদেশ দেন। কিন্তু সৈন্য সাহায্য পৌঁছানোর পূর্বেই ফরাগানা ও সমগ্র খোরাসান আবু মুসলিমের হস্তগত হয় এবং নসর পরাজিত ও নিহত হন।
৮. ইব্রাহিম ধৃত ও নিহত : খোরাসানের পতন উমাইয়া রাজত্বের প্রতি একটি মারাত্মক আঘাতস্বরূপ। এর পতনে বিচলিত হয়ে খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান গুপ্তচরের মাধ্যমে সংবাদ পেলেন যে, আবু মুসলিম ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদের প্রচারক ও প্রতিনিধি হিসেবে খোরাসানে উমাইয়া প্রভুত্ব বিলোপের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
এ সময় আবু মুসলিমকে লিখিত ইব্রাহিমের একটি ষড়যন্ত্রমূলক পত্র মারওয়ানের হস্তগত হলে ইব্রাহিম করার আদেশ দেওয়া হয় ।
কিছুদিনের মধ্যেই তাকে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর পূর্বে ইব্রাহিম তার ভ্রাতাদ্বয় আবুল আব্বাস আস সাফফাহ এবং আবু জাফর আল মনসুরকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান ।
৯. ইরাক অধিকার : ইব্রাহিমের মৃত্যুতে আব্বাসীয় আন্দোলন ধ্বংস হয়নি আবু মুসলিমের রণকৌশলে এবং সময় দক্ষতায় উমাইয়া সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে তা বিস্তার লাভ করে।
আব্বসীয় সমর্থকগণ মারওয়ানের নৃশংসতায় ক্রুদ্ধ ও বিচলিত হয়ে প্রবল উদ্দীপনা ও উৎসাহে উমাইয়া বংশের আধিপত্য বিনষ্ট করতে তৎপর হয়। আবু মুসলিম তার অধীনস্থ সেনাপতি কাহতাব এবং খালিদ-ইবনে-বার্মাককে রাই শহর অধিমুখে প্রেরণ করেন।
ফোরাত নদী অতিক্রম করে তারা ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে উপস্থিত হন। উমাইয়া শাসনকর্তা ইয়াজিদ আবু মুসলিমের বাহিনীকে বাধা দেন কিন্তু তিনি পরাজিত হন। এর ফলে কুফা আবু মুসলিমের অধিকারে আসে।
কুফা আবু মুসলিমের দখলে আসলে আবুল আব্বাস ও তাঁর পরিবারবর্গ আত্মগোপন পরিত্যাগ করে প্রকাশ্যভাবে বসবাস করতে থাকেন। অন্যদিকে আবু মুসলিমের অপর একজন সেনাপতি আবু আয়ুন মারওয়ানের আব্দুল্লাহকে পরাজিত করে পারস্যের নিহাওয়ান্দ এবং মেসোপটেমিয়া অধিকার করেন।
১০. আবুল আব্বাস খলিফা বলে ঘোষিত : আবু মুসলিমের কুফা বিজয়ের পরে ৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে আবুল আব্বাস কৃষ্ণ বস্ত্রে আচ্ছাদিত হয়ে কুফা মসজিদে গমন করে সেখানে খলিফা বলে ঘোষিত হন।
ইরাকবাসী তাকে নিঃসঙ্কোচে সমর্থন জানায় এবং তিনি আনুগত্য লাভ করে শপথ গ্রহণ করেন যে, তিনি উমাইয়া নৃশংসতার উপযুক্ত প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন ।
১১. জাবের যুদ্ধ এবং উমাইয়াদের পতন : খোরাসান, পারস্য ও ইরাকের পতনে খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান ভীত শঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন।
আবু আয়ুনের হাতে স্বীয় পুত্র আব্দুল্লাহর পরাজয় তাঁর বুকে শেলের মত বেঁধে। খলিফা স্বয়ং পুত্রের পরাজয়ের গানি মোচনের জন্য ৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে ১,২০,০০০ সৈন্যসহ টাইগ্রিস নদী অতিক্রম করে জাব দীর দিকে অগ্রসর হন।
এদিকে আবু আয়ুনের সাহায্যার্থে আবুল আব্বাস একটি শক্তিশালী বাহিনী প্রেরণ করেন এবং এই | সম্মিলিত বাহিনীর নেতৃত্ব তাঁর পিতৃব্য আব্দুল্লাহর উপর অর্পণ করেন। মারওয়ান জাব নদীর পশ্চিম তীরে এবং আব্দুল্লাহ পূর্ব তীরে শিবির স্থাপন করেন।
বহুদিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলতে থাকে।জয় পরাজয় প্রায় অনিশ্চিত থাকে। অবশেষে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে | জাবের যুদ্ধে (Battle of Jab) দ্বিতীয় মারওয়ান শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান। পরে বসরায় এক গির্জা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়।
এভাবে উমাইয়াদের পতন ঘটে। আমির আলী বলেন, “জাবের এই অবিস্মরণীয় যুদ্ধ উমাইয়া রাজত্বের পরিসমাপ্তি ঘটায়।” হিট্টি বলেন, “এই যুদ্ধের পর সমগ্র সিরিয়া আব্বসীয়দের পদানত হয়।
সিরিয়ায় সমস্ত শহরের দরজা আব্দুল্লাহ এবং তাঁর খোরাসান বাহিনীর জন্য উন্মুক্ত হতে লাগলো এবং ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল সামান্য বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উমাইয়া খিলাফতের রাজধানী দামেস্ক অধিকৃত হয়।”
আবুল আব্বাস আস-সাফফাহ | উপাধি ধারণা করে আল-হাশেমিয়ায় রাজধানী স্থাপন করে আব্বাসীয় বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আব্বাসীয়গণ বিবি ফাতিমার বংশধরদের জনপ্রিয়তার সুযোগ গ্রহণ করে প্রচারকার্য চালিয়ে জাবের যুদ্ধে শেষ উমাইয়া খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ানের পতন ঘটিয়ে খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
তবে একথা অনস্বীকার্য যে,এ বংশ প্রতিষ্ঠায় আৰু মুসলিমের ভূমিকা | গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত। আবু মুসলিমের ন্যায় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন প্রচারক ও সুযোগ্য সৈনিকের সাহায্য না পেলে আব্বাসীয় বংশ প্রতিষ্ঠিত হতো কিনা সন্দেহ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আবু মুসলিম খোরাসানী ভূমিকা উল্লেখপূর্বক যে অবস্থাসমূহের প্রেক্ষিতে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বিবরণ দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।