আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর |
আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামলে আবু জাফর আল মনসুরের সময়কাল ছিল সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য। তিনি ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই বংশের শাসন নীতির সুষ্ঠু প্রয়োগ ও সাম্রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপনের জন্য তাকে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় ।
আল-মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপ : আবু জাফর আল মনসুর সিংহাসনে আরোহণ করে আব্বাসীয় শাসন সুদৃঢ় করে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেন :
১. আব্দুল্লাহর বিদ্রোহ দমন : খলিফা আল-মনসুরের খিলাফত লাভের অব্যবহিত পরেই তার চাচা এবং সিরিয়ার শাসনকর্তা আব্দুল্লাহ বিন আলী বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
ফলে ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে নাসিবিনের যুদ্ধে আল মনসুর তার চাচাকে পরাজিত করেন এবং কারাবন্দি করেন। ৭ বছর বন্দি থাকার পর প্রাসাদ ধসে ধ্বংসস্তূপের নিম্নে চাপা পড়ে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়।
২. আবু মুসলিমের পতন : আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর খলিফা আল মনসুর আবু মুসলিমের দিকে নজর দেন। আবু মুসলিম ছিলেন খোরাসানের শাসনকর্তা। খোরাসানে আবু মুসলিম অপরিসীম ক্ষমতা এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন এমন কি সেখানে একদল লোক তাকে নবির মর্যাদা দান করে।
তিনি আব্বাসীয় বংশের ধ্বংস সাধনে ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন। ফলে মনসুর আব্বাসীয় খিলাফতের ভবিষ্যৎ বিপদ সম্ভাবনা লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সকলের অলক্ষ্যে আবু মুসলিমকে হত্যা করেন।
৩. সানবাদের বিদ্রোহ দমন : আবু মুসলিমের হত্যার সংবাদ শোনামাত্র তার সেনাবাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ খোরাসানবাসী মাজুসি দলপতি সানবাদের নেতৃত্বে এ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে বদ্ধপরিকর হয়।
তারা রায় হতে নিশাপুর পর্যন্ত সমগ্র ভূ-ভাগে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে। ফলে খলিফা মনসুরকে সেখানে পাঠালে প্রতিশোধ গ্রহণকারীদের সাথে রাজকীয় বাহিনীর একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সে যুদ্ধে সানবাদের নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে খোরাসানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৪. তাবারিস্তান বিদ্রোহ দমন : ৭৬৭-৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে তাবারিস্ত ানে বিদ্রোহ দেখা দিলে তা মনসুর কঠোরহস্তে দমন করেন।
৫. বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠা : খলিফা মনসুরের চিরস্মরণীয় গৌরবময় কীর্তি হল বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা। এটি দজলা (টাইগ্রিস) নদীর পশ্চিম তীরে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত ছিল ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আব্বাসীয় শাসনামলে আবু জাফর আল মনসুর এক অনবদ্য ব্যক্তিত্ব। দ্বিতীয় শাসক হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করলেও স্বীয় কৃতিত্বের জন্য আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতার মর্যাদা প্রদান করা হয় ৷
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আবু জাফর আল মনসুরের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।