ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও টি।
ভণ্ড নবীদের পরি চয় দাও |
ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের শেষ দিকে আরবের বিভিন্ন অংশে কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের নবি বলে দাবি করে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। নবুয়ত প্রাপ্তিকে তারা লাভজনক মনে করেননিজেদেরকে নবি হিসেবে দাবি করে। মহানবি (সা.)-এর মৃত্যুর সংবাদে তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠে এবং ইসলামের বিনাশ সাধনে তৎপর হয়।
→ ভণ্ড নবিদের পরিচয় : আসাদ আনসি, মুসায়লামা, তোলায়হা, সাজাহ এরা নিজেদেরকে নবি দাবি করেছিল। নিম্নে ভণ্ড নবিদের পরিচয় উল্লেখ করা হলো-
১. আসাদ আনসি : হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবিতকালে ইয়ামেনের আসাদ আনসি নবুয়্যত দাবি করে। ভণ্ড নবিদের মধ্যে আসওয়াদ আনসিই ছিল প্রথম। সে ইয়ামেন হতে মুসলিম প্রতিনিধিকে বিতাড়িত করে সমগ্র ইয়ামেন ও নজরান দখল করে । সে এক শক্তিশালী সৈন্যদল গঠন করে প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠে। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের পূর্বে আসওয়াদ আনসি তার আত্মীয় ফিরোজ দায়লামী কর্তৃক নিহত হয়।
২. মুসায়লামা : মুসায়লামা ছিল ভণ্ড নবিদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। মধ্য আরবের ইয়ামেনের বনু হানিফা গোত্রের মুসায়লামা নিজেকে নবি বলে দাবি করেন। সে মহানবি (সা.)-এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন কিন্তু দেশে প্রত্যাবর্তন করেননিজেকে নবি বলে দাবি করে। মহানবি (সা.) তাকে নিবৃত্ত করার জন্য একজন দূত প্রেরণ করেন। কিন্তু মুসায়লামা তার কথায় কর্ণপাত করেনি।
৩. তোলায়হা : উত্তর আরবের বনি আসাদ গোত্রের তোলায়হা নামক এক ব্যক্তিও নিজেকে নবি বলে দাবি করে। সে মদিনায় বেদুঈন সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে ষড়যন্ত্র করে যাকাত বিরোধি আন্দোলন গড়ে তোলে এবং ইসলামি সাম্রাজ্য ধ্বংসের জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
৪. সাজাহ নাম্মী : নারীদের মধ্যে একজন নিজেকে নবি দাবি করেছেন। তাঁর নাম ছিল সাজাহ নাম্মী। সে মধ্য আরবের ইয়ারবু গোত্রের। সে ছিলো নাসারা। সাজাহ নাম্মী খ্রিস্টানদের সাহায্য ও সহযোগিতায় মদিনার ইসলামি রাষ্ট্রের ধ্বংস সাধনের চেষ্টা করেন। তার দাবিকে জোরদার করার জন্য সে অপর ভণ্ড নবি মুসায়লামাকে বিবাহ করে। এভাবে নকল নবিদের বিদ্রোহের ফলে আরব দেশে এক চরম সঙ্কট ও অন্তঃবিপর্যয়ের উদ্ভব হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলামের ধ্বংস সাধনের জন্যই ভণ্ড নবিদের নবুয়ত দাবি করেছেন। হজরত আবু বকর (রা.) এসব ভণ্ড নবিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। ভণ্ড নবিরা খালিদ, ইকরামা, মোহাজির প্রমুখ সেনাপতিদের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভণ্ড নবীদের পরিচয় দাও টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।
আর্টিকেলটি যথাযথ হয়েছে।❤️❤️❤️❤️❤️