উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর টি।
উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর |
উত্তর : ভূমিকা : প্রাক ইসলামি যুগে আরবরা সাংস্কৃতিক # দিক দিয়ে অনেক উন্নত ছিল। সংস্কৃতিমনা আরবরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটতো এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে উকায মেলা অন্যতম ছিল। এ মেলা জিলকদ ও জিলহজ, মহরম ও রজব মাসে অনুষ্ঠিত হতো। মক্কার প্রায় সকল শ্রেণীর লোক এ মেলায় অংশগ্রহণ করতো।
উকায মেলা : ইসলামের আগমনের পূর্বেও গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্য চর্চায় আরবদের বিস্ময়কর সৃজনশীল শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। সে সময় গীতিকাব্য রচনা করে আরবগণ বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। গ্রিকরা যেমন তাদের স্থাপত্য । বিদ্যা ও ভাস্কর্যের জন্য গৌরব অনুভব করে তেমনি গীতিকাব্য রচনার জন্য | আরবরাও অনুরূপ গৌরবের দাবিদার ছিল। ঐতিহাসিক পিকে হিট্টি বলেন, প্রাক ইসলামি যুগে উকাযের মেলা আরবের Academic franchise হিসেবে কাজ করতো। এ সাহিত্য সভায় কাব্যচর্চার দ্বারা কবিরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতো।কথিত আছে যে, উকাযের মেলায় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতটি কবিতাকে সোনালি হরফে লিপিবদ্ধ করে কাবা গৃহের দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। এ সকল কবিতাসমূহকে সাবা মুয়াল্লাকাত বলা হতো। আজও আরব বিশ্বে সাবা মুয়াল্লাকাত সেরা কবিতার গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জাহেলিয়া যুগেও কিছু মাসে তারা তাদের যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ রাখত। সেগুলো হলো জিলকদ, জিলহাজ্ব ও মহররম মাস। এ সময়ই এই উকায মেলা বসত। মেলায় দেশীয় পণ্য সামগ্রী, বাসনপত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য পণ্যের বেচাকেনা হতো। এর পাশাপাশি নাচ, গান ও মদ্যপান ইত্যাদির আসর বসত এই মেলায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।