স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন | গ্রামীন মেলার উপর প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন | গ্রামীন মেলার উপর প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন | গ্রামীন মেলার উপর প্রতিবেদন টি।
স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন |
তোমার দেখা একটি গ্রামীণ মেলার ওপর প্রতিবেদন তৈরি করো
দুর্গাসাগরের বৈশাখী মেলা বাঙালির প্রাণের প্রতিচ্ছবি
জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল ॥ ১৫ এপ্রিল, ২০২২: প্রতিবছরের মতো এবারও ১৪ এপ্রিল উদ্যাপিত হলো বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। বাংলা প্রথম মাস বৈশাখকে বরণ করে নিতে মেলায় নেমেছিল উৎসবমুখর জনতার ঢল। পা ফেলার স্থান ছিল না মেলায়।
নারীরা লাল-সাদা শাড়ি এবং পুরুষরা বাহারি পাঞ্জাবি পরে সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করে মেলায়। কিশোর-কিশোরীরা দল বেঁধে হাজির হয় । শিশুদের জায়গা হয় বড়দের কোলে-কাঁধে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলাপ্রাঙ্গণ ।
আয়োজকরা মেলার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সর্বমোট চারটি গেট নির্মাণ করেছিল। এর দুটো ছিল প্রবেশ পথ। বাকি দুটো ছিল নির্গমনের জন্য । আগত দর্শনার্থীরাও লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মেলায় প্রবেশ করে ।
মেলায় নির্মাণ করা হয় পর্যাপ্ত খাবারের দোকান। ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভাতের হোটেল। সকালে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ খেতে দোকানগুলোয় ছিল উপচেপড়া ভিড়। মিঠাই, মণ্ডা, মিষ্টি, খুরমা, বাদাম, চানাচুর, বিস্কুট, মশলা, আইসক্রিমসহ প্রায় সব ধরনের খাবারের দোকানে ছিল ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় ।
বেশ কিছু কামার-কুমারের দোকানও ছিল চোখের পড়ার মতো। গ্রামীণ তৈজসপত্রের দোকানও ছিল অনেক। কুমাররা মাটির বাসন-কোসন ছাড়াও পুতুল, খেলনা, চরকি দিয়ে পসরা সাজিয়েছিলেন। কামারদের দোকানেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। নারীদের বঁটি-দা এবং পুরুষদের লাঙলের ফলা, কোদাল, কুড়াল কেনায় ব্যস্ত দেখা গেছে।
শিশুদের খেলনার দোকানই ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল শিশুদের খেলনার দোকানে। ঘুড়ি, নাটাই, ক্রিকেট ব্যাট, ফুটবল, খেলনা পিস্তল, আতশবাজি, প্লাস্টিকের গাড়িই বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান দোকানিরা।
এছাড়াও ছিল মেয়েদের প্রসাধনী ও কাপড়ের দোকান। এসব দোকানে নারীক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রসাধনী এবং পোশাক গত বছরের চেয়ে এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এক ব্যবসায়ী ।
দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আয়োজন করেছিল। নাগরদোলা, দুর্গাসাগরে নৌকাবাইচ ছিল এগুলোর মধ্যে প্রধান আকর্ষণ । নাগরদোলায় চড়তে শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি বড়দেরও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই নৌকা ভাড়া করে গোটা দুর্গাসাগর দীঘি পাড়ি দেয়।
মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলায় আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দারাও দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা গেছে। রোভার স্কাউট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যরাও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করেছেন।
উল্লেখ্য, দুর্গাসাগর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বরিশাল জেলার প্রসিদ্ধ এক দীঘি। বরিশাল শহর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে মাধবপাশা গ্রামে এর অবস্থান । দীঘিসংলগ্ন যে বিশাল মাঠ রয়েছে সেখানে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিবছর বৈশাখী মেলার আয়োজন করে থাকে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন | গ্রামীন মেলার উপর প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্থানীয় মেলা নিয়ে একটি প্রতিবেদন | গ্রামীন মেলার উপর প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।