সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য টি।
সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো |
সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য
উত্তর: সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য: এখানে সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হলো:
সরল বাক্য | জটিল বাক্য |
---|---|
যে বাক্যের একটিমাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন: আমরা আমাদের পৃথিবী সুন্দর করে সাজাব । এ বাক্যে ‘আমরা’ কর্তা এবং ‘সাজাব' সমাপিকা ক্রিয়া | যে বাক্যের একটি প্রধান বাক্য এবং এর ওপর নির্ভরশীল এক বা একাধিক অপ্রধান বা আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন: যিনি অপরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে। এই বাক্যে ‘তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে' প্রধান বাক্য এবং “যিনি অপরের উপকার করেন' খণ্ডবাক্য । |
সরল বাক্য অতি সহজেই বোধগম্য এবং এর গঠনরীতিও সহজ। যেমন: বিদ্বান হলেও তাঁর কোনো অহংকার নেই। | জটিল বাক্য সরল বাক্যের মতো সহজবোধ্য নয় এবং এর গঠনরীতিও একটু জটিল । যেমন: যদিও তিনি বিদ্বান, তবুও তাঁর কোনো অহংকার নেই |
সরল বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া অর্থাৎ বিধেয় থাকে। যেমন: ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয় । এ বাক্যে ‘ধনীরা’ উদ্দেশ্য এবং ‘কৃপণ হয়’ বিধেয়। | জটিল বাক্যে উদ্দেশ্য অনির্দিষ্ট থাকে কিন্তু বিধেয় নির্দিষ্ট থাকে । যেমন: যারা ধনী, তারা প্রায়ই কৃপণ হয় । |
সরল বাক্যে যখন-তখন, যেহেতু-সেহেতু ইত্যাদি যুক্ত হয় না । | এ বাক্যে উদ্দেশ্য ‘ধনী’ অনির্দিষ্ট এবং বিধেয় ‘কৃপণ' নির্দিষ্ট। iv. জটিল বাক্যে যেহেতু-সেহেতু, যখন-তখন ইত্যাদি যুক্ত হয় । |
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সরল বাক্য ও জটিল বাক্যের মধ্যে পার্থক্য টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।