শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো টি।
শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো |
শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো
“বাড়ছে শিশু শ্রম: রুদ্ধ হচ্ছে শিক্ষার দ্বার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধোলাইখাল ॥ ১৪ মার্চ, ২০২২
এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার
মহান মে দিবসে শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিশুশ্রম প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না। ‘স্বাবলম্বী’ নামক সংগঠন স্বেচ্ছায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সংগঠনটি ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ওপর সম্প্রতি একটি বিস্তারিত জরিপ চালিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় দেখা গেছে ৪৩৫ জন শিশু মোট ৪২ ধরনের কর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২০ ধরনের শ্রম মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ১৫৬ জন শিশু এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে আবার ৮ প্রকারের কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন— ওয়েলডিং, ওয়ার্কশপের কাজ, টেম্পো হেলপারের কাজ, জর্দা ফ্যাক্টরির কাজ, রিকশা চালানো, সিগারেট ফ্যাক্টরির কাজ ও ঠেলাগাড়ির কাজ। এসব অতিশয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৪৩৫ জন শিশুর মধ্যে ১১৫ জন । এদের মধ্যে ৬৮ জন কখনো স্কুলে যায়নি; বাকিদের মধ্যে কেউ প্রাইমারি উত্তীর্ণ হতে পারেনি । এরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত । জরিপে অংশগ্রহণকারী শিশুরা জানিয়েছে, পরিবারের আর্থিক দৈন্যের কারণে তারা শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। আর শিশুশ্রম সহজলভ্য; তাই নিয়োগকর্তারা শিশুদের কাজ দেওয়া লাভজনক বিবেচনা করে । আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো বেতনাদি দিতে হয় না শিশু শ্রমিককে । শুধু খাবার প্রদানই তাদের বেতন বা মজুরি হিসেবে গণ্য হয় ।
জরিপে শিশুদের থাকা-খাওয়া সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সমীক্ষায় জানা যায়, ৪৩৫ জনের মধ্যে ১১৩ জন কর্মস্থলে, ২১৮ জন অভিভাবকদের সঙ্গে ও বাকিরা অন্যত্র রাত্রিযাপন করে। পরিবহন কাজে সংশ্লিষ্ট শিশু শ্রমিকরা বাসে বা ট্রাকের নিচে অথবা টেম্পো বা রিকশা গ্যারেজে রাত্রিযাপন করে। গৃহ-পরিচারিকার কাজে নিযুক্ত ৯ জন শুধু তিনবেলা খাবার পায়। এ কাজে নিযুক্ত ৩১ জন নিয়োগকর্তার রান্নাঘরে রাত কাটায়, ১০ জন অভিভাবকের সঙ্গে এবং ৬ জন অন্যত্র রাত কাটায় । শিশু শ্রমিকদের কোনো ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক সংগঠন নেই ৷ ন্যূনতম মজুরি কত সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। কোনো শ্রম আদালত শিশু শ্রমিকদের নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে, এমন উদাহরণ আমাদের সামনে নেই।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।