স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন টি।
স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন |
স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন
স্যাটেলাইট চ্যানেল: সুফল-কুফল
জেলা প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা ॥ ২০ এপ্রিল ২০২২ ॥ মানুষের জীবনে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের ফলে বিশ্ব আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে মহাবিশ্বব্যাপী; স্যাটেলাইট চ্যানেল এই যোগাযোগেরই এক মাধ্যম।
স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিভি অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করা যাচ্ছে। বিগত প্রায় দুই দশক ধরে আমাদের দেশে ডিশ অ্যান্টেনার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। শুধু শহরাঞ্চল নয়, ডিশ অ্যান্টেনা এখন গ্রামে-গঞ্জেও পৌঁছে গেছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দর্শক-শ্রোতা এবং সমাজের সচেতন মানুষদের মধ্যে ডিশ অ্যান্টেনা সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এখানে এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো ।
স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্যবহারের সুফল: ডিশ সংযোগ ব্যয়বহুল হলেও এর কতগুলো সুবিধা রয়েছে। যেমন—
১. স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রদর্শিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জীবন চেতনার ধারায় মেধা ও মননকে সমৃদ্ধ করা যায় ।
২. শিক্ষা ও জীবনযাত্রার প্রতিযোগিতায় স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাহায্যে প্রদর্শিত অনুষ্ঠান অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দান করে থাকে।
৩. বিদেশি চ্যানেলের প্রচারিত জীবনমুখী বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি, শিখতে পারছি।
৪. ভিনদেশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে অবগত হতে পারছি।
৫. স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্ব-সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় ।
স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্যবহারের কুফল: শুধু স্বভাবগত কারণেই মানুষের ভালো অথবা মন্দ দিক উন্মোচিত হয়। কথিত আছে— একই ফুল থেকে ভ্রমর আহরণ করে মধু আর মাকড়সা আহরণ করে বিষ। তেমনি স্যাটেলাইট চ্যানেলেরও সুফলের বিপরীতে কিছু কুফল রয়েছে। এর ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ নিম্নরূপ—
-১. অপসংস্কৃতির আগ্রাসন: বিদেশি চ্যানেলে প্রদর্শিত অতিমাত্রায় শালীনতা বর্জিত নানা দৃশ্য থেকে আমাদের যুবসমাজ বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
২ . চরিত্রের অধঃপতন: স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাহায্যে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নানা কুরুচিপূর্ণ, নৃত্য-গীত দেখার ফলে তাদের চারিত্রিক অধঃপতন ঘটছে।
৩. সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত: স্যাটেলাইট চ্যানেলের ফলে নৈতিক সামাজিক মূল্যবোধ চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যুবকরা মেতে থাকছে এসব চ্যানেল নিয়ে । ফলে আমাদের সমাজে প্রচলিত শাশ্বত মূল্যবোধকে তারা হৃদয়ঙ্গম করতে পারছে না ।
৪. অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি: নৈতিকতা বিবর্জিত বিভিন্ন সহিংস অনুষ্ঠান দেখে ছেলেমেয়েরা অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক শান্তি ও স্থিতি ।
৫. বিকৃত মানসিকতা: স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রভাবে সমাজ, বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক বিকৃতি ও চারিত্রিক অধঃপতন ঘটছে বলেও মনে করেন অনেকে।
পরিশেষে বলা যায়, স্যাটেলাইট চ্যানেল প্রযুক্তির উন্নত সংস্করণ । এর গুরুত্ব বর্তমান বাস্তবতায় অস্বীকার করা যাবে না । এর ভালো দিকগুলো গ্রহণের এবং খারাপ দিকগুলো বর্জনের জন্য যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানাই ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুফল ও কুফল তুলে ধরে প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।