বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর টি।
বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর |
বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর
বরাবর অধ্যক্ষ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা ।
বিষয়: কলেজ ছাত্র সংসদ আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
সূত্র: ঢা.ক ১০৩/৭/2022
জনাব,
সম্প্রতি সমাপ্ত ঢাকা কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আপনার নিকট উপস্থাপন করছি।
১৫ মার্চ, ২০২২
ঢাকা কলেজে বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ পালিত
ঢাকা কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বিগত ৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন
সারাবছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর বার্ষিক পরীক্ষার শেষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন সময়োপযোগী হয়েছে। বৈচিত্র্যপূর্ণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দ লাভ করেছে, তেমনই বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রহণ করার শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছে।
এ প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল 'বিচিত্র'। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সুপ্ত মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে সেজন্য আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, বিতর্ক, প্রবন্ধপাঠ, পুঁথিপাঠ, হাসির গল্প বলা, ধারাবাহিক গল্প বলা, সুন্দর হস্তাক্ষর, প্রবন্ধ রচনা, স্বরচিত গল্প- কবিতা পাঠ, একক অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক গান, পল্লিগীতি, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণে আগ্রহী থাকায় বাছাইয়ের মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের অধ্যাপকগণ। প্রতিদিন চতুর্থ ঘণ্টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার পর কলেজ মিলনায়তনে বাছাইয়ের কাজ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় মূল্যবান বই। সারাবছরের একাডেমিক পুরস্কারও এ সময়ে বিতরণ করা হয়। এছাড়া শ্রেণিশৃঙ্খলা, নিয়মিত উপস্থিতি ইত্যাদি বিষয়েও পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল ।
বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল তা তাদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায়। প্রতিযোগিতার সময় প্রতিযোগীসহ সকল শিক্ষার্থী শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে। কলেজের শিক্ষকগণ শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন। ছাত্র ও শিক্ষকদের পারস্পরিক সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানটি সফল হয়ে ওঠে।
প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় এবং শেষদিন প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য পুরস্কার বিতরণ করেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক অভিভাবক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণের পর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মনোজ্ঞ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। কলেজের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে।
নিবেদক
মাসুদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ
আহ্বায়ক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপন উপ-কমিটি
[এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে।]
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।