পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ।
পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর |
পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর
- পাকিস্তানি শাসনামলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কি বৈষম্য ছিল?
- অথবা, পাকিস্তানি শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি রাজনৈতিক বৈষম্যের বর্ণনা দাও ৷
- অথবা, পাকিস্তানি শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি রাজনৈতিক বৈষম্য উল্লেখ কর।
- অথবা, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য তুলে ধর।
উত্তর : ভূমিকা : পাকিস্তানি শাসনামলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে চরম বৈষম্য, বিরাজিত ছিল। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্বপাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে । ফলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বিপন্ন হয়ে উঠে।
→ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য : ১৯৪৭-৫৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ৪ জন রাষ্ট্রপ্রধানের মাত্র ১ জন ছিলেন পূর্ববাংলার এবং তিনি ছিলেন উর্দুভাষী। এ সময় ৭ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৩ জন ছিলেন পূর্ব বাংলার এবং তাদের মধ্যে ১ জন ছিলেন উর্দুভাষী এবং ১৯৪৭-৫৫ সালে পূর্ববাংলার ৪ জন গভর্নরের মধ্যে মাত্র ১ জন ছিলেন বাঙালি। এছাড়া জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন পূর্ব পাকিস্তানের অনুকূল হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান “এক ইউনিট তত্ত্ব” নামে এক অভিনব ধারণার সূত্রপাত করে, যেখানে সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তান একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভোটের ভারসাম্য আনা ।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাঞ্জাব প্রদেশ প্রস্তাব করে পাকিস্তানে সরাসরি জনসংখ্যার বণ্টনের ভিত্তিতে ভোট অনুষ্ঠিত হোক, কারণ পাঞ্জাবিরা ছিল সিন্ধি, পশতুন, বালুচ যা পাকিস্তানের অন্য যেকোনো গোত্রের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, মূলত পাকিস্তান সৃষ্টির পর খেইে পশ্চিম পাকিস্তান নানাভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করে আসছিল। অর্থনীতি, রাজনীতি ও প্রশাসনে বাঙালিদের মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের লাফ অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়। দিন দিন তা প্রকট হয়ে উঠলে বাঙালি জনগণ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং সৃষ্টি হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈষম্য ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।