পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন টি।
পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন |
পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন
মূলভাব: আমাদের জ্ঞানের আধার হচ্ছে বই। বইপড়া আমাদের জ্ঞানের- পরিধিকে সম্প্রসারিত করে। অন্যদিকে, বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে মানুষের মন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে।
সম্প্রসারিত ভাব: বই আমাদের জ্ঞানের বিস্তৃতি ঘটায়। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নানা অজানাকে জানতে পারি। বই আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করে তোলে। বই হতে হবে রুচিসম্পন্ন। কেননা অরুচিশীল বই পাঠে পাঠককে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারে । তাই ভালো বই যেমন পাঠ করা দরকার, তেমনি মন্দ বই বর্জন করা দরকার। মানসম্মত বই-ই পারে মানুষের জীবন বদলে দিতে। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হলে বই অবশ্যই পড়তে হবে। কেননা ৰই যতই পড়া যাবে বিচিত্র জ্ঞানের ভাণ্ডার ততই বৃদ্ধি পাবে। এ বিশ্বের বড় বড় জ্ঞানী ব্যক্তিই ছিলেন বইপ্রেমী । কবি ওমর খৈয়াম তাঁর কল্পিত স্বর্গভূমিতেও বইয়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। ‘তিনি বলেছেন— রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে..... কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয় ।” পল্লিকবি জসীমউদ্দীন বলেন, 'বই-ই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের “য়ে | প্রতীক । প্রমথ চৌধুরী বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর ‘বই পড়া' প্রবন্ধে বলেছেন “আমাদের মনে হয় এ দেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের পরা চাইতে কিছু কম নয়।' এ লাইব্রেরিতেই থাকে বই যা জ্ঞানের দ্বার খুলে ীর দেয়। শুধু পাঠ্যসূচির কয়েকটি বই পড়ে জ্ঞানের পূর্ণতা অর্জন করা যায় –ত না । এ জন্য বহুমুখী প্রতিভা অর্জন ও বিচিত্র জ্ঞানের জন্য নানা ধরনের বই তে পড়তে হবে। জ্ঞানার্জনের নির্দিষ্ট বই এবং নির্ধারিত কোনো সীমা নেই। স্টা বই পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষ বিশাল জ্ঞানরাজ্যে প্রবেশ করে এবং অজানা দিগন্তে উদ্ভাসিত হয়। বই মানুষের মনকে সরল, সচল ও সমৃদ্ধ করে তোলে। বিশ্বসাহিত্যের অনেক বই আছে যা আমাদের জ্ঞানের দ্বার খুলে দেয় যেমন- হোমারের ‘ইলিয়ড’ ও ‘ওডিসি’, ফিয়োদর দস্তয়ভস্কির 'ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট' (অপরাধ ও শাস্তি) যা পড়ে রুশ সমাজ সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। শিশুদের জন্য অনেক শিশুতোষ বই আছে যেমন- সুকুমার রায়ের ছড়া ও গল্পের বই প্রভৃতি। কারণ শিশু বয়স থেকেই আমাদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই আত্মার খোরাক জোগায়। অন্ধকার যেমন আলো ছাড়া দূরীভূত করা যায় না, তেমনি বই ছাড়া কেউ জ্ঞানী হতে পারে না। যে জাতি যত বেশি বই পড়ে, সে জাতি তত বেশি উন্নত। তাই আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মন্তব্য: বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে ব্যক্তি হিসেবেও উন্নত করে তোলে । আর যাদের বই পড়ার অভ্যাস নেই, তার জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারেই পড়ে থাকে। তাই ব্যক্তিমনকে আলোকিত করতে এবং সমাজকে উন্নত করতে বই পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই ভাবসম্প্রসারন টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।