উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে আলোচনা কর টি।
উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে আলোচনা কর |
উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে আলোচনা কর
উত্তর: বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য কোনো শব্দের পূর্বে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত এধরনের অব্যয়সূচক শব্দাংশকে উপসর্গ বলে। অর্থাৎ, যে অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশ ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে সে অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশই হলো উপসর্গ ।
উপসর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো— এর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি হয় । যেমন: ‘অ’ একটি উপসর্গ। এটি কোনো নির্দিষ্ট অর্থবাচক শব্দ নয়। তবে অন্য শব্দের আগে বসে এটি অর্থদ্যোতক হয়ে ওঠে। যেমন: ‘কাজ' শব্দের আগে ‘অ' উপসর্গটি যুক্ত হলে হয় অকাজ, যার অর্থ- নিন্দনীয় কাজ ।
এখানে অর্থের সংকোচন হয়েছে। এ রকম ‘পূর্ণ” (ভরা) শব্দের আগে ‘পরি’ উপসর্গ যোগ করায় ‘পরিপূর্ণ’ হলো। এটি ‘পূর্ণ” শব্দের সম্প্রসারিত রূপ। ‘হার' শব্দের সঙ্গে ‘আ’ যুক্ত হয়ে ‘আহার’ (খাওয়া), ‘প্র’ যুক্ত হয়ে ‘প্রহার’ (মারা), 'বি' যুক্ত হয়ে ‘বিহার’ (ভ্রমণ), ‘পরি’ যুক্ত হয়ে ‘পরিহার’ (ত্যাগ), ‘উপ’ যুক্ত হয়ে ‘উপহার' (পুরস্কার), ‘সম' যুক্ত হয়ে ‘সংহার’ (হত্যা) ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন শব্দ তৈরি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো বিভিন্ন অর্থের দ্যোতক। এখানে উল্লেখ্য যে, নাম বা কৃদন্ত শব্দের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে থাকলে উপসর্গের কোনো অর্থ নেই । কিন্তু কৃদন্ত বা নাম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হলেই আশ্রিত শব্দকে অবলম্বন করে বিশেষ অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি করে। তাই বলা হয়, উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ।
ব্যতিক্রম : বাংলা ভাষায় ‘অতি’ ও ‘প্রতি’ দুটি উপসর্গের কখনো কখনো স্বাধীন প্রয়োগ হতে পারে । যেমন:
ক. মাথা প্রতি পাঁচ টাকা খরচ ।
খ. অতি বাড়া ভালো না ।
অর্থাৎ উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকলেও অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ বা সংকোচন করতে পারে। অতএব, আমরা বলতে পারি উক্তিটি যথার্থ ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে ব্যাখ্যা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে উদাহরণসহ আলোচনা কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।