যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা টি।
যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন |
যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা
গণপরিবহনে নিরাপত্তাহীনতায় নারী
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ঢাকা ॥ ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ॥ বর্তমান সময়ে যানবাহনে নারীদের নিরাপত্তাহীনতা বহুল আলোচিত সমস্যা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও এর ভয়াবহ রূপটি প্রকাশ পাচ্ছে। টাঙ্গাইলে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মানিকগঞ্জে এক গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এক নারীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ এবং জানা-অজানা বহু হয়রানী হচ্ছে নারী যাত্রীর ওপর। বাংলাদেশের নারীরা সামাজিকতা এবং লজ্জার কারণে অনেক ভয়াবহ ঘটনা লুকিয়ে রাখেন। এর সুযোগে অপরাধীরা বিচারের বাহিরেই থেকে যায়। ফলে নিয়মিত ঘটতে থাকে এসকল ভয়ঙ্কর অপরাধ। নারীর নির্বিঘ্নে চলাচল ব্যাহত হয়। ধর্ষণ ছাড়াও নারী যাত্রীদের যানবাহনে ওঠা-নামায় ও আসন গ্রহণে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। বাসে কোনো সুন্দরী নারী উঠলে পুরুষ যাত্রীদের স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, পোশাক নিয়ে মন্তব্য, আপত্তিকর ভঙ্গি, ড্রাইভারের অসহযোগিতা, সুযোগ পেয়ে নারী যাত্রীদের শরীর স্পর্শ করা, শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকাসহ তাকে নানা সমস্যায় পড়তে হয় । চালক এবং তার সহকর্মীদের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার সৃষ্টি হতে দেখা যায়। বিবেকবান যাত্রীদের মধ্যে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। টাঙ্গাইলে যে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল সেই বাসচালক এবং হেলপারের ফাঁসির রায় হয়েছে। কিন্তু এমন অসংখ্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। বাসমালিকের সহযোগিতায় অনেক সময় অপরাধীরা খালাস পেয়ে যায়। তারা তথ্য লুকিয়ে বিচারকাজ ব্যাহত করে। বর্তমানে নারীরা রাস্তায় চলাচলে খুবই অনিরাপদ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই সমস্যা আরও প্রকট। তাই ভারত সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করেছে। বাংলাদেশেরও উচিত নারী হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করা। নারীদের ঘরে বসিয়ে রেখে কেবল নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। তাদেরকে কর্মমুখী করতে হবে। দেশের অর্থনীতির সাথে তাদের সংযোগ বাড়াতে হবে। এজন্য নারীদের অবাধ চলাফেরার ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। যানবাহনে ও কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। বাস, ট্রেন লঞ্চ প্রভৃতি যানবাহনে চলাচলের সময় সকলের উচিত, নারী যাত্রীদের সহযোগিতা করা । কেউ সমস্যায় পড়লে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করা উচিত। তবেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নারীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যানবাহনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।