মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন টি।
মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন |
মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন
উত্তর : ভূমিকা : হজরত আলী (রা.)-এর মৃত্যু ও হাসান (রা.)-এর পদত্যাগের পর হজরত ইমাম মুয়াবিয়া (রা.) মুসলিম জাহানের খলিফা নির্বাচিত হন। তার রাজত্বকাল ইসলামের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় । উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজতন্ত্রের সূচনাকারী হিসেবে পরিচিতি ইমাম মুয়াবিয়াকে প্রথম রাজা বলা হয় ।
→ মুয়াবিয়া-কে প্রথম রাজা বলার কারণ : মুয়াবিয়ার পদক্ষেপ ও কার্যাবলির জন্য তাকে আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়। নিম্নে এ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো :
১. বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : মুয়াবিয়া ৬৭৯ সালে | নিজ পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার নিযুক্ত করে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রবর্তিত খলিফা মনোয়নেরপদ্ধতি পরবর্তী উমাইয়া খালফাগণ অনুসরণ করেন এবং পরবর্তী রাজবংশ আমিরদের আমলেও অনুসৃত হয়। এতে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়ে অনুসৃত নির্বাচন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। আর বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাকে আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়।
২. জাঁকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রা : মুসলিম রাজাদের মধ্যে মুয়াবিয়া সর্বপ্রথম রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রার সূচনা করেন। তিনি খোলাফায়ে রাশেদীনের ৪ খলিফার মতো সহজ, সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাত্রার পরিবর্তে পারস্য ও বাইজান্টাইন প্রভাবে তিনি সর্বপ্রথম জাঁকজমক আড়ম্বরপূর্ণ, বিলাসব্যসন, অমিতব্যয়িতা ও সমারোহপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান চালু করেন। তার রাজকীয় আড়ম্বরতার জন্য তাকে আরবদের রাজা বলা হয়ে থাকে ।
৩. বংশ ও গোত্রীয় স্বার্থের প্রাধান্য রক্ষা : আরব নৃপতিদের মধ্যে মুয়াবিয়া সর্বপ্রথম স্বীয় বংশ ও গোত্রীয় স্বার্থের প্রাধান্য রক্ষার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি স্বীয় ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে যেকোনো অন্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দ্বিধা করতো না। পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে ইমাম হাসানের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে নি। এছাড়া তিনি স্বীয় অবস্থান ও বংশের স্বার্থ রক্ষার্থে সিরিয়া বিজয়ী বীর আব্দুর রহমানকে হত্যা করেন। রাজকীয় ও স্বার্থগত কার্যকলাপের জন্য মুয়াবিয়াকে আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুয়াবিয়া ইসলামি খিলাফতের মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়ে ব্যক্তিগত ও গোত্রীয় স্বার্থে কার্যকলাপ পরিচালনা করেন। তিনি স্বীয় ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করতে দ্বিধা করেননি। তার এ রাজকীয় মনোভাবের জন্য মুয়াবিয়াকে আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুয়াবিয়াকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয় কেন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।