আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর ।
আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর |
আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
- অথবা, আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য উদ্দেশ্যসমূহ আলোচনা কর।
- অথবা, আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য 19 উদ্দেশ্যসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা কর ৷
- অথবা, ১৯৪৯ সালের আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলো উল্লেখ কর।
- অথবা, আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী?
উত্তর ভূমিকা : পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী মুসলিম লীগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মুসলিম লীগ | নেতাদের বৈষম্যমূলক নীতি ও ত্যাগী নেতার অবহেলা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় ।
→ আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো : ১. রাষ্ট্রের অখণ্ডতা সংরক্ষণ : পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং স্থায়িত্ব সংরক্ষণ করা ।
২. সংবিধানে গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি : পাকিস্তানের সংবিধান এবং আইন যাতে সত্যিকার গণতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে রচিত হয় তা নিশ্চিত করা।
৩. মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা : পাকিস্তানের মুসলমানদের . ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সামরিক, শিক্ষার স্বার্থ নিশ্চিতকরণ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের একই অধিকার নিশ্চিত করা।
৪. মানবাধিকার নিশ্চয়তা : পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা; যথা- খাদ্য, আশ্রয়, বস্ত্র, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সৎ ও সম্মানজনক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৫. শ্রমজীবীদের স্বার্থ রক্ষা : সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শ্রমের পূর্ণ মজুরি নিশ্চিত করা।
৬. সততা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ : সমতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, নির্যাতন দূরীকরণ, দুর্নীতি দূরীকরণ এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে সমাজসেবা সংঘটিত করে জনগণের নৈতিক ও পার্থিব অবস্থার উন্নতি করা।
৭. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের এবং গণকর্ম কমিশনের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং গ্রেপ্তারের পূর্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা।
৮. নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত : নাগরিকের অধিকার; যেমন- ব্যক্তিগত এবং বিশ্বাসের যৌথ স্বাধীনতা, ভাষণ, সংগঠন ইত্যাদি মৌল অধিকার নিশ্চিত করা।
৯. মুসলিম বিশ্বের সাথে সুসম্পর্কোন্নয়ন : বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন শক্তিশালীকরণ; পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ।
১০. নৈতিকতার প্রসার : জনগণের মধ্যে ইসলামের সত্যিকার জ্ঞান এবং এর উচ্চ নৈতিকতা এবং ধর্মীয় নীতি প্রচার করা ।
১১. আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠান : আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করা।
১২. স্বৈরাচারের অবসান : ২৪ জুন সদ্য গঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম জনসভা আরমানিটোলায় অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা ভাসানী মুসলিম লীগের ২২ মাসের অপকীর্তির খতিয়ান তুলে ধরেন এবং স্বৈরাচারের অবসানকল্পে জনগণের মুসলিম লীগ অর্থাৎ আওয়ামী মুসলিম লীগের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, এ দলটি একটি গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ পরিচালনা, মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা, সংবিধানের নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা সর্বোপরি স্বৈরাচারের অবসায়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আওয়ামী মুসলিম লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।