মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ ।
মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ |
মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ
- অথবা, মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে লিখ ।
উত্তর ভূমিকা : ১৯৪৭ সালে ২২ মার্চ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভারতের ভাইসরয় হয়ে আসেন। তাঁর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি যখন ভাইসরয় হয়ে আসেন। তখন এখানকার রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অবস্থা ছিল ভীষণ জটিল। তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একতা না থাকায় কেন্দ্রীয় শাসন অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। যার ফলে তখন এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ভারতের অখণ্ডতা আর কোনো ক্রমেই রাখা সম্ভব নয় । এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সংকট দূর করে ভারতীয় জনগণের নিজস্ব ইচ্ছা অনুসারে ভারত বিভাগ করার উদ্দেশ্যে লর্ড মাউন্ড ব্যাটেন ব্রিটিশ সরকারের নিকট এক পরিকল্পনা পেশ করেন। তাই এই পরিকল্পনাটি মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনা নামে অবহিত। ১৯৪৭ সালের ৩ জুন মাসে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ৷
→ মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনা এর বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলো :
১. ৩ জুনের পরিকল্পনায় ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে পাকিস্তান ও ভারত নামে ডোমিনিয়নের মর্যাদা সম্পন্ন দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের সুপারিশ করা হয় ।
২. এ পরিকল্পনায় বাংলা এবং পাঞ্জাব প্রদেশের জেলাগুলোকে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আলোকে পাকিস্তান অথবা ভারতের যেকোনো একটিতে যোগ দেয়ার অধিকার প্রদান করা হয় ৷
৩. উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বালুচিস্তান এবং আসামের সিলেট জেলা ভারত অথবা পাকিস্তান কোনটিতে যোগদান করবে তা গণভোটের মাধ্যমে স্থির করার সুপারিশ প্রদান করা হয় ।
৪. পরিকল্পনায় পাকিস্তান এবং ভারত নামক দুটি ডোমিনিয়নের সীমানা চিহ্নিত করার জন্য একটি সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
৫. এ পরিকল্পনায় পাকিস্তান এবং ভারতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রাখা হয় ।
৬. এ পরিকল্পনায় চলতি গণপরিষদকে তার কার্য চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করে এবং সাথে সাথে এটাও প্রস্তাব রাখে যে, চলতি গণপরিষদ কর্তৃক শাসনতন্ত্র যে সকল অঞ্চল গ্রহণ করতে রাজি থাকবে না তাদের উপর তা কার্যকরী হবে না।
৭. এ পরিকল্পনায় ঘোষিত হয় যে, যে সকল অঞ্চল চলতি গণপরিষদের কাজ-কর্মে যোগদান করতে অনিচ্ছুক যে সকল অঞ্চলের গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে যে সকল অঞ্চলের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি গণপরিষদ গঠন করা হবে।
৮. সিন্ধু প্রদেশের আইনসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যে, তারা চলতি গণপরিষদে যোগদান করবে কি না।
৯. নতুন ডোমিনিয়নদ্বয় কমনওয়েলথভুক্ত থাকবে কি থাকবে না সেটা সম্পর্কে স্বস্ব ডোমিনিয়নের গণপরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতবর্ষের শাসকশ্রেণি যে অভিন্ন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিল যা মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার কারণে পুরোপুরি ধূলিসাৎ হয়। তৎকালীন বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতানৈক্য থাকার সুযোগে | ব্রিটিশ ভাইসরয় মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরে | পরবর্তীতে যে তাখণ্ডবাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন মূলত এটা ধ্বংসের বীজ বপন করা হয়। এরই পরে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মাউন্ট ব্যাটেন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।