মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মৌলিক গণতন্ত্র কি (moulik gonotontro ki) | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ ।
মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ |
মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ
- মৌলিক গণতন্ত্র কি?
- অথবা, মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ ?
- অথবা, মৌলিক গণতন্ত্র সম্পর্কে লিখ।
- অথবা, মৌলিক গণতন্ত্র সম্পর্কে তুমি কি জান লিখ ।
- অথবা, আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : মৌলিক গণতন্ত্র মূলত আইয়ুব খান প্রণীত একটি আদেশ আইয়ুব খান যখন ক্ষমতায় আরোহন করেন তখন তিনি তার শাসন ক্ষমতাকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে মৌলিক গণতন্ত্র প্রণয়ন করে। তিনি স্থায়ী সরকারকে ভেঙে সাজাতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় পর্যায়কে একটা শক্ত অবস্থানে দাড় করাতে মূলত আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। তার এ মৌলিক গণতন্ত্র ছিল অগণতান্ত্রিক প্রকৃতির ।
→ মৌলিক গণতন্ত্র : পাকিস্তানের রাজনীতিতে আইয়ুব খানের উত্থান বা ক্ষমতা দখল কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল অনেক চিন্তা-ভাবনা এবং পরিকল্পনার ফল। যার কারণে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই আইয়ুব খান স্বীয় ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। মৌলিক গণতন্ত্র (Basic Democracy) তন্মধ্যে অন্যতম। ক্ষমতা দখলের এক বছর পর ১৯৫৯ সালের ২৭ অক্টোবর আইয়ুব খান “মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ” (Basic Democracy Order) জারি করেন। এ আদেশ বলে তিনি স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরবিশিষ্ট যে পরিকল্পনা করে তার নামকরণ করা হয় মৌলিক গণতন্ত্র। এটিকে বুনিয়াদি গণতন্ত্রও বলা হয়। মৌলিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে আইয়ুব খান জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেন। কারণ মৌলিক গণতন্ত্র চালুর ফলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার বিনষ্ট হয়। মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশের প্রথম স্তর ছিল 'গ্রাম-ইউনিয়ন কাউন্সিল' পৌর এলাকায় 'ইউনিয়ন কমিটি' ছোট শহরে টাউন কমিটি। দ্বিতীয় স্তরে গ্রাম ছিল থানা কাউন্সিল পৌর এলাকায় মিউনিসিপ্যাল কমিটি এবং সামরিক এলাকায় ক্যান্টানমেন্ট বোর্ড। তৃতীয় স্তরে ছিল বিভাগীয় কাউন্সিল'। অধ্যাদেশ জারি করে 'প্রাদেশিক উন্নয়ন কাউন্সিল' এর ব্যবস্থা ছিল যা ১৯৬২ সালের সংবিধানের অধীনে প্রাদেশিক আইন পরিষদ গঠন করার পর বাতিল করা হয়। পূর্ব- পাকিস্তানে ৪০ হাজার এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ৪০ হাজার মৌলিক গণতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হবে বলে বিধান করা হয়। এ মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটেই ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইনসভার সদস্য ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৫৯ সালের আইয়ুব খান তার ক্ষমতাকে সুসংহত করার উদ্দেশ্যই মৌলিক গণতন্ত্র ও অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এ অধ্যাদেশের মাধ্যমেই জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করা হয়। আইয়ুব খানের এ মৌলিক গণতন্ত্র ছিল অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মৌলিক গণতন্ত্র কি | মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।