মজলিশ উস শুরা কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মজলিশ উস শুরা কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মজলিশ উস শুরা কি টি।
মজলিশ উস শুরা কি |
মজলিশ উস শুরা কি
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) ঘোষণা করেছিলেন যে, পরামর্শ ব্যতীত কোন খেলাফত চলতে পারে না তাই তিনি মজলিশ-উস-শূরা অথবা উপদেষ্টা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামি রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বৈশিষ্ট্য হলো মুজলিশ-উস-শূরা। ইসলামি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মজলিশ- উস-শূরার পরামর্শক্রমে ইসলামি রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
→ মজলিশ-উস-শূরা : মজলিশ-উস-শূরা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১. মজলিশ-উস-শূরার পরিচয় : শূরা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ পরামর্শ। আর মজলিস অর্থ হচ্ছে সভা। সুতরাং মজলিস-উস-শূরা অর্থ পরামর্শ সভা। হজরত ওমর (রা.) জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছভাবে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মন্ত্রণাপরিষদ গঠন করেন যা মজলিশ-উস-শূরা নামে পরিচিত। এটি খলিফা ওমর (রা.)- এর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল।
২. প্রকারভেদ : মজলিশ-উস-শূরা দু'ভাগে বিভক্ত। যথা-
(ক) মজলিশ-উল-আম ও
(খ) মজলিশ-উস-খাস
নিম্নে তা আলোকপাত করা হলো-
(ক) মজলিশ-উল-আম মজলিশ-উল-আমের সদস্য ছিলেন প্রাদেশিক শাসকগণ, মদিনার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মোহাজের ও আনসারগণ। এর অধিবেশনকালে উপস্থিত যেকোনো ব্যক্তি এর আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারত। এই অধিবেশন ডাকা হতো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য এবং সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।
(খ) মজলিশ-উস-খাস মজলিশ-উস-খাসের সদস্য ছিলেন বিশিষ্ট সাহাবাগণ যেমন- হজরত ওসমান (রা.), হজরত আলী (রা.) হজরত তালহা (রা.), হজরত যোবায়ের (রা.) প্রমুখ। এটি ছিল উচ্চ পরিষদ। রাষ্ট্রের দৈনন্দিন কার্য পরিচালনার জন্য এ পরিষদ ডাকা হতো।
৩. সভার স্থান : মদিনার মসজিদে মজলিশ-উস-শূরার সভা অনুষ্ঠিত হতো। খলিফা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য মজলিশ-উস-আমের বৈঠক ডাকতেন। আর রাষ্ট্রের দৈনন্দিন কার্য পরিচালনার জন্য মজলিশ-উস-খাসের পরামর্শ গ্রহণ করতেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা ওমর (রা.) পূর্ণ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। মজলিশ-উস-শূরার পরামর্শ ব্যতীত তিনি কোনো কার্য সম্পাদন করতেন না। আল্লামা শিবলি নোমানী বলেন, “বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী গণতন্ত্রের যাবতীয় কায়দাকানুন হজরত ওমর (রা.) করতে না পারলেও তার সময়ে গণতন্ত্রের মৌলিকত্বের যে বিকাশ ঘটেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নাই ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মজলিশ উস শুরা কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মজলিশ উস শুরা কি টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।