মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন hsc
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন hsc জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন hsc টি।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন |
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নিয়ামতপুর, সৈয়দপুর ॥ ১৫ মে, ২০২২ ॥ বর্তমানে আধুনিক মানুষের প্রতিদিনের জীবন মোবাইল ফোনের কলধ্বনিতে মুখর। মোবাইল ফোন বর্তমান নাগরিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের হাতেই যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোন উঠে এসেছে। অনেকেই মোবাইল ছাড়া প্রতিদিনের জীবন ভাবতে পারে না। মোবাইলের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, নবীন থেকে শুরু করে প্রবীণ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষই মুহূর্তেই যোগাযোগের সুবিধা পেতেই মোবাইল ফোন হাতে তুলে নিয়েছে। মোবাইল ফোন সময় বাঁচায় ও তথ্যপ্রবাহকে দ্রুততর করে। অনেক মানুষই মনে করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার যথাযথভাবে হচ্ছে না। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের মাত্রা বেড়ে গেছে। আজকের প্রতিবেদনে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কিত কিছু কাজ বা চর্চা তুলে ধরছি—
১. দীর্ঘ সময় কথা বলা: মোবাইল ফোন একটি জরুরি তথ্য বিনিময়ের যন্ত্র। অথচ আমরা লক্ষ করছি মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলে অপ্রয়োজনীয় কথা বলছে যা সময় ও অর্থের অপচয় ।
২. অসময়ে যোগাযোগ: মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সময় কাঙ্ক্ষিত নম্বরে যোগাযোগ করা যায়। যার ফলে অনেকে অসময়েও ফোন করে।
৩. নির্ঘুম রাতযাপন: কোনো কোনো মোবাইল কোম্পানি রাত ১২টার পর অল্প ব্যয়ে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেয় এবং অনেক গ্রাহকই রাতের এই সুযোগটি গ্রহণ করে । এতে গ্রাহকরা রাত জেগে কথা বলে যা তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটায় এবং কর্মস্পৃহা নষ্ট করে।
৪. মিথ্যা বলার চর্চা: মোবাইলে বার্তা গ্রহীতার অবস্থান চিহ্নিত করা যায় না বলে অনেক গ্রাহক স্থান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়। এতে সমাজে মিথ্যা বলার চর্চা বাড়ছে ।
৫. পীড়াদায়ক: মোবাইলে বার্তা প্রেরক অনেক সময়ই অচেনা হতে পারে। আর এটি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে অনেক দুষ্ট লোক অন্যের পীড়ার কারণ হতে পারে । কোনো ফোন কল অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিরক্তিকর হতে পারে।
৬. সন্ত্রাস বৃদ্ধি: মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া খুব সহজ। ফলে অনেক সন্ত্রাসী মোবাইল ফোনে মানুষকে সন্ত্রস্ত করে তোলে, তাছাড়া সামাজিক অস্থিরতা, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির কাজেও মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয় ।
৭. ইভটিজিং: মোবাইলের অপব্যবহারের মাধ্যমে যৌন হয়রানিমূলক ঘটনাও ঘটছে। বিশেষত নারীদের কণ্ঠস্বর শুনলেই অনেকে বাজে কথা বলে। ৮. স্বাস্থ্যঝুঁকি: দীর্ঘ সময় কানে মোবাইল ফোন ধরে কথা বললে ক্যান্সার হবার মতো স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে সচেতন নয় ।
৯. ছবি তোলা: বিজ্ঞানের উন্নতিতে এখন সেলফি তোলা যায়, তোলা যায় অন্যের ছবিও। এক্ষেত্রে অনেকেই পূর্বানুমতি না নিয়ে অন্যের ছবি তোলে যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে বিনষ্ট করে। এমনকি এটি কোনো প্রতিষ্ঠানকেও বিপদগ্রস্ত করতে পারে ।
১০. যথেচ্ছ বিজ্ঞাপন: খুদে বার্তার মাধ্যমে যেকোনো পণ্য বা সেবার প্রচার চালানো যায়। মোবাইল কোম্পানিগুলোর কল্যাণে আজ কাল গ্রাহক নম্বরে সারাদিন অসংখ্য খুদে বার্তা আসতে থাকে, যা বিরক্তিকর।
বস্তুত, মোবাইল ফোন একটি জরুরি যোগাযোগ যন্ত্র। অথচ এর অপব্যবহারের ফলে অনেককে মোবাইল বন্ধ করে রাখতে হয়। সময় এসেছে সমাজকে মোবাইলের অপব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে ভাববার।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে সংবাদ প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন hsc টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।