করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা টি।
করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা |
করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা
ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস একটি ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। সারা বিশ্বে এটি তার চূড়ান্ত মহামারিরূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। এর প্রভাবে ক্রমান্বয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে পৃথিবী। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। শীতপ্রধান অঞ্চলের অনেক দেশই এই ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন প্রভৃতি দেশে হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের হানায় হয়ে পড়েছে স্থবির। এখানে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুবরণ করছে। এর প্রভাবে মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থা, পর্যটন, ব্যবসায়- বাণিজ্য সবকিছু থেমে আছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। দেশের এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে নিয়মিত
করোনা ভাইরাসের পরিচয়: করোনাভাইরাস বলতে মূলত একটি পরিবারকে বোঝায়, যেখানে অসংখ্য ভাইরাস একসাথে থাকে। এই পরিবারের মাত্র সাতটি ভাইরাসই মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে এটি মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এরপর এটি সর্দি-কাশির মতো লক্ষণ নিয়ে প্রকাশ পায়। এই পরিবারের সর্বশেষ আবিষ্কৃত ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নভেল করোনাভাইরাস বা এনসিওভি-২০১৯'। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, চীনের উহানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়ে। এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগকে বলা হয় ‘কোভিড-১৯’। করোনার ‘কো’, ভাইরাসের ‘ভি’, ডিজিজের 'ডি' এবং ২০১৯ থেকে ‘১৯' নিয়ে এই রোগের নামকরণ হয়েছে ‘কোভিড-১৯'।
সংক্রমণ: করোনা পরিবারের ভাইরাস মূলত আক্রান্ত প্রাণীর দেহ থেকে ছে মানুষের শরীরে আসে। এরপর সর্দি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ন্য সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাস মূলত মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। হয় প্রধানত মানুষের শ্বাসনালির জলকণার মাধ্যমে এটি ছড়ায়। 'এনসিওভি- গা ২০১৯' নামক ভাইরাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম ধরা পড়ে। ধারণা করা হয় সেখানকার কোনো ভাইরাস সংক্রমিত প্রাণী এর থেকে এটি মানুষের দেহে এসেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা বাদুড় বা
সাপজাতীয় কোনো প্রাণী এই ভাইরাসের উৎস। ২০১৯ থেকে ২০২১-এ ক এসে করোনাভাইরাসের ধরনে কিছু বিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা আরও - বেশি রহস্যময়। বিশেষজ্ঞদের দাবি 'কোভিড-১৯' মিউট্যান্ট স্ট্রেনটি র আরও গুরুতর ও সংক্রামক। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের = পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো— যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত,
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়া। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার = যুক্তরাজ্যের ধরনকে আলফা, ব্রাজিলের ধরনকে গামা, ভারতীয় ধরনকে ডেল্টা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনকে বিটা ও নাইজেরিয়ার ধরনকে ইটা নামে নামকরণ করেছে। সম্প্রতি দেশে ভারতীয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার ধরনের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
'কোভিড-১৯' রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিরোধ: 'কোভিড-১৯' রোগটি বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণের মধ্যে রয়েছে— জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, বমি, ডায়রিয়া প্রভৃতি। তবে কোনো লক্ষণ ছাড়াও অনেকে এই ভাইরাস শরীরে বহন করতে পারে। আর এমন উপসর্গবিহীন রোগীদের দ্বারাই এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করা ।
২. নির্দিষ্ট সময় পরপর সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোওয়া।
৩. যেখানে-সেখানে কফ ও থুথু না ফেলা।
৪. হাঁচি বা কাশির সময় মুখের সামনে হাতের মধ্যভাগ বা রুমাল দেওয়া ।
৫. হ্যান্ডশেক এবং কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা ।
৬. আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের সংস্পর্শে না আসতে দেওয়া।
৭. সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ বা নাকে স্পর্শ না করা ।
৮. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে দেওয়া।
৯. অসুস্থ অনুভূত হলে বাড়িতে সবার থেকে আলাদা অবস্থান করা এবং কারো সংস্পর্শে না যাওয়া ।
১০. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা ।
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব : বাংলাদেশে প্রথম ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত করা হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ভয় ও আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো দেশ। অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো—
ক. শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাব: নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে অচল হয়ে পড়ে দেশের শিক্ষা খাত। দেশে করোনা সংক্রমণের খবরের পর ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বৃদ্ধি করে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পিছিয়ে যায় । যদিও অনেক স্কুল-কলেজ অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
খ. স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রভাব: নভেল করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের স্বাস্থ্য খাত। এমনিতেই জনবহুল এই দেশে হাসপাতালগুলো চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খায়, তার ওপর ভাইরাসের প্রভাবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসাসেবীদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। আবার করোনার প্রভাবে অন্যান্য রোগীদেরও বঞ্চিত হতে হয়েছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে। সরকারি হিসাব মতে জুন, ২০২১ এর ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ‘কোভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ লক্ষাধিক এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩,৫৪৮ জন হাজার মানুষের। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় শতাধিক চিকিৎসাসেবী। ফলে তাদেরও আতঙ্ক এবং ভয় নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। সরকার এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন করে অনেক ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দিয়েছে। ‘কোভিড-১৯' রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট চালু করেছে ।
গ. অর্থনীতিতে প্রভাব: নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি হয়ে পড়েছে ভঙ্গুর। ব্যবসায়-বাণিজ্যে মন্দার কারণে দেশের সার্বিক অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া বৈদেশিক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়েছে। দেশে বেকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। আবার অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারানোয় দারিদ্র্যের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই থেকে তিন শতাংশে নেমে যেতে পারে। অথচ অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আট দশমিক দুই শতাংশ।
ঘ. সামাজিক জীবনযাত্রায় প্রভাব: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ‘কোভিড-১৯’ মারাত্মক ছোঁয়াচে হওয়ায় মানুষকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্ত মানুষের সান্নিধ্যে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সবসময় মানুষকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। ভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হয় বিধায় দেশের সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালনেও এর প্রভাব পড়েছে। মানুষ একপ্রকার ঘরবন্দি থাকার কারণে সকলের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে।
ঙ. কর্মক্ষেত্রে প্রভাব: দেশের কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মারাত্মকভাবে। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে বেকার হয়ে পড়েছে এই সময়ে । বিশেষ করে দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, পরিবহণ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করার কারণে দেশের বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের বাসায় রেখে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।-- কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আবার সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।
চ. যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব: দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় করোনার প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিমান চলাচল। তাছাড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার পরিবহণ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক, রেল ও নৌ চলাচল। এতে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে না। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা শিথিল করা হয়েছে ।
ছ. শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব: শিল্পক্ষেত্রে করোনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকেই একে একে বন্ধ হতে থাকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া দেশে ব্যবসায়-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় অনেক প্রতিষ্ঠান । এতে কাজ হারায় অনেক মানুষ। সরকার শিল্পের চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের আর্থিক ক্ষতি কাটাতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। ' এর মধ্যে শিল্পঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক- কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় ।
‘কোভিড-১৯' মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ: ‘কোভিড-১৯’ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে— দেশের সব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা, অফিস-আদালতে অনলাইনে কাজ চালিয়ে নেওয়ার উৎসাহ প্রদান, গণপরিবহণ চলাচল সীমিত করা, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান, সবধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা, স্বাস্থ্যসেবীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য হাসপাতালে বিশেষ করোনা ইউনিট চালু করা প্রভৃতি। ‘কোভিড-১৯' মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদক্ষেপ হলো স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিনামূল্যে জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড নামের টিকা দেওয়া হয়। ২৭ জানুয়ারি ২০২১ সালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
করোনা-পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংকট ও সম্ভাবনা: করোনা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অর্থনীতির অবস্থা কী হবে সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। কেননা, এই সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটাতে বহু বছর লেগে যেতে পারে। এছাড়া দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য যে পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তা মোকাবিলা করতেও হিমশিম খেতে হবে সবাইকে। আবার করোনার প্রভাবে দেশের পর্যটন ক্ষেত্রে যে ধস নেমেছে তা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দীর্ঘ সময়। এগুলো কাটাতে সরকারের উচিত হবে সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা । নতুবা দেশ দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়ে যেতে পারে। করোনায় মানুষ একরকম ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্র সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে । যথা— মানুষ এই সময়ে বাজারে যেতে না পারায় অনলাইনে কেনাকাটা করছে। ফলে অনলাইন ব্যবসায় দেশে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উঠে আসতে পারে। এছাড়া প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন রোবটিক প্রযুক্তির ব্যবহারও বৃদ্ধি পেতে পারে বহুগুণে। মোটকথা, করোনা-পরবর্তীতে বাংলাদেশে যেমন বিভিন্ন সংকট দেখা দিতে পারে, তেমনি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তা থেকে উত্তরণ লাভ করে দেশ হয়ে উঠতে পারে সম্ভাবনাময় ।
উপসংহার: নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও তার ভয়াবহ রূপ দেখিয়েছে। এর কারণে দেশ হয়ে পড়েছে স্থবির। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে. এই ভাইরাসে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সেবাসহ সকল ক্ষেত্রে এর প্রভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছে সবাই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে দেশের সার্বিক কার্যক্রম ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সকলের প্রত্যাশা অচিরেই সকল সংকট কাটিয়ে উঠে আবার বাংলাদেশ তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই করোনা বিপর্যস্ত বাংলাদেশ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।