খন্দক যুদ্ধের ইতিহাস | খন্দক যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খন্দক যুদ্ধের ইতিহাস | খন্দক যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খন্দক যুদ্ধের অপর নাম কি টি।
খন্দক যুদ্ধের ইতিহাস খন্দক যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয় |
খন্দক যুদ্ধের ইতিহাস | খন্দক যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয়
উত্তর : ভূমিকা : মহানবি (সা.) ইসলামের জ্যোতি তিমিরবিদারি সূর্যের আলোর মতোই চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে লাগলেন, আরবের কাফেরদের অন্তরে তা বিষাক্ত তীরের মতো বিদ্ধ হতে থাকে। তাই উহুদ যুদ্ধে সাময়িক বিজয়ী কুরাইশরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে শেষবারের মতো সাঁড়াশি আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। ফলে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক আহযাব বা খন্দক যুদ্ধ ।
→ খন্দকের যুদ্ধ : ইসলামের আবির্ভাবের পর যে কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। তবে এ যুদ্ধ ইতিহাসে বিভিন্ন নামে অভিহিত। পরিখা বা খন্দক খনন করে মদিনা রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে একে পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ বলা হয়। এ যুদ্ধকে পবিত্র কুরআনে আহযাবের যুদ্ধ নামে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মক্কার কুরাইশ, বেদুঈন ও ইহুদিদের সম্মিলিত বাহিনী মুসলমানদের চিরতরে নিশ্চিত করার জন্য মদিনা আক্রমণ করতে চাইলে মুহাম্মদ (সা.) সালমান ফারসির পরামর্শে মদিনার চারপাশে খন্দক বা খাল খনন করে যে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাই ইসলামের ইতিহাসে তথা ইতিহাসে খন্দকের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
→ খন্দক যুদ্ধের ঘটনা : উপরিউক্ত কারণের প্রেক্ষিতে ৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ৩১ তারিখে কুরাইশ, ইহুদি ও বেদুইনদের মিলিত শক্তি আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মদিনা আক্রমণের জন্য যাত্রা করে। এ যুদ্ধে কুরাইশদের যৌথ বাহিনীতে ৬০০ অশ্বারোহী যোদ্ধাসহ ১০০০০ যোদ্ধা অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে মহানবি (সা.) ৩০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী গঠন করেন। কিন্তু এ স্বল্প সংখ্যক নিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ কঠিন হবে মনে করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার জন্য সালমান পার্সি (রা.)-এর পরামর্শক্রমে শহরের অরক্ষিত স্থানগুরোতে পরিখা খনন করেন। ফলে মুসলমানদের নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হয়। ৩৭২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ কৃরাইশরা মদিনা আক্রমণ করে। কিন্তু পরিখা অতিক্রম করে হামলা চালাতে অসমর্থ্য হয় । এভাবে দীর্ঘ ২৭ দিন অবরোধের পর খাদ্যাভাব, ঝড়-ঝঞ্ঝা ও হিমেল হাওয়ায় কুরাইশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলে আবু সুফিয়ান অবরোধ প্রত্যাহার করে মক্কায় ফিরে যায়। ফলে মিত্রবাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলামের ইতিহাসে খন্দকের যুদ্ধের গুরুত্ব অত্যধিক। এ যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে | এক যুগান্তকারী ঘটনা। খন্দকের যুদ্ধে সম্মিলিত খোদাদ্রোহী শক্তি চরমভাবে পরাজিত লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আর মহানবি (সা.) বিজয়ী বেশে বিশ্বের বুকে ইসলামের অমিয় বাণী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খন্দক যুদ্ধের অপর নাম কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খন্দক যুদ্ধের ইতিহাস | খন্দক যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয় টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।