খোলাফায়ে রাশেদীন কাকে বলে | খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে কি বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে কি বুঝ টি।
খোলাফায়ে রাশেদীন কাকে বলে |
খোলাফায়ে রাশেদীন কাকে বলে
উত্তর : ভূমিকা : মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর পর যে চারজন বিশিষ্ট সাহাবি তাঁর প্রতিনিধিরূপে মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব প্রদান করেছেন তাদেরকে ইসলামের ইতিহাসে খোলাফায়ে রাশেদীন বলে। আর এ মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্বকে খেলাফত বলা হয়। যিনি এ খিলাফত পরিচালনা করেন তাঁকে “খলিফা” বলা হয়।
→ খোলাফায়ে রাশেদীন এর সংজ্ঞা : খোলাফা শব্দটি বহুবচন, এর একবচন খলিফা। খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। খোলাফায়ে রাশেদুন অর্থ সত্য বা ন্যায় পথগামী। খিলাফত শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে খলিফা বা প্রতিনিধি ও উত্তরাধিকারী থেকে। মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র পরিচালনার জন্য তাঁর স্থলাভিষিক্ত যিনি হয়েছিলেন তাকে খলিফা বলা হয়।
→ খোলাফায়ে রাশেদীনের পরিচয় : হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাতের পর যে চারজন সাহাবি হযরতেরই (সা.) প্রতিনিধিরূপে আরব রাষ্ট্র ও মুসলিম সমাজের সর্বাধিনায়কত্ব করে গেছেন তারাই মুসলিম জাহানের ইতিহাসে খোলাফায়ে রাশেদীন নামে পরিচিত। ইসলামের সরকার পদ্ধতিকে খেলাফত বলা হয়। খেলাফত হচ্ছে মিনহাজুন নবুওয়াত বা নবুয়াতের পদ্ধতি। ইসলামের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হলো খেলাফত ।
মুসলিম জাহানের ইতিহাসে খোলাফায়ে রাশেদীনের চারজন হলেন— (ক) হজরত আবু বকর (রা.)
(খ) হজরত ওমর ফারুক (রা.)
(গ) হজরত ওসমান (রা.) ও (ঘ) হজরত আলী (রা.)।
এ চারজন ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম রাষ্ট্রের সর্বাধিক মঙ্গলের জন্য আল্লাহর ও রাসূলের নির্দেশিত পথ অনুসারে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এবং রাষ্ট্রের শাসন কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে গেছেন বলে তাদেরকে খোলাফায়ে রাশেদীন বলা হয়।
→ খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনকাল : ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মহানবি (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন। হজরত আবু বকর (রা.) থেকে হজরত আলী (রা.) পর্যন্ত চারজন খলিফা সর্বমোট ত্রিশ বছর কাল (৬৩২-৬৬১ খ্রি.) মুসলিম জাহানের খেলাফাতের পদ অলংকৃত করেছিলেন। ঐতিহাসিক ফিলিপ হিট্টি বলেন, “এটা এমন এক যুগ ছিল যে যুগ হজরত (সা.) জীবনাদর্শ খলিফাদের চিন্তাধারা ও কর্মের উপর আলো ও প্রভাব বিস্তার করা থেকে বিরত হয়নি। (This was a period in which the lustre of the prophets life had not ceased to shed its light and influence ever the thoughts and acts of the caliphs) P.K. Hitti: history of the Arabs p-140.আরব রাষ্ট্রের সর্বাধিনায়ক হয়েও তারা কখনও ত্যাগ, ন্যায়নিষ্ঠা, সরলতা, সততা এবং জনসেবা ও কল্যাণের আদর্শ ও লক্ষ্য হতে বিচ্যুত হয়নি। তাদের ত্রিশ বছরের খেলাফত কালই | ছিল ইসলামি শাসনব্যবস্থার আদর্শ সোনালী যুগ ।
উসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ৬৩২-৬৬১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যে চারজন বিশিষ্ট সাহাবি আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী ইসলামি রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করে গেছেন তাদেরকে খোলাফায়ে রাশেদীন বলে এবং তাদের যুগকে ইসলামের ইতিহাসে সোনালী যুগ বলা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে কী বোঝো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে কী বোঝো টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।