খারেজি সম্প্রদায় কারা | খারেজী কারা ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খারেজি কারা জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খারেজি কারা।
খারেজি কারা |
খারেজি কারা
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাজনৈতিক দল হিসাবে যে কয়টি দলের উদ্ভব হয়েছে তার মধ্যে খারিজি সম্প্রদায় অন্যতম। এ সম্প্রদায় ইসলামের একটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রদায়। এরা ইসলামের ইতিহাসে দলত্যাগী সম্প্রদায় নামে পরিচিত।
→ খারিজিদের পরিচয় : খারিজি শব্দটি আরবি। খারিজ অর্থ হলো বিচ্ছিন্ন বা দলত্যাগী। ইসলামের ইতিহাসে খারিজি বলতে সেই দলত্যাগী গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা সিফফিনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে হজরত আলী (রা.)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ।
হজরত ওসমান (রা.)এর হত্যাকাণ্ডের পর হজরত আলী (রা.) ইসলামের চতুর্থ খলিফা নিযুক্ত হন। ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বিভিন্ন কারণে আলী (রা.)-এর সাথে মুয়াবিয়ার মধ্যে সিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের পর দুমাতুল জান্দাল আপোস মীমাংসার জন্য শালিসের ব্যবস্থা করা হলে হজরত আলী (রা.)-এর কতিপয় লোক তা মেনে নিতে পারে নি। তাদের দাবি ছিল, “আল্লাহ ব্যতীত আর কারও ফয়সালা চলবে না”।
আমর বিন আসের কূটনৈতিক বুদ্ধির কারণে হজরত আলী (রা.) যুদ্ধ বন্ধ করেন এবং এ সালিশিতে মুয়াবিয়া খলিফা নিযুক্ত হন। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে হজরত আলী (রা.)-এর দল থেকে ১২ হাজার সৈন্য দল ত্যাগ করে কুফার নিকট হারুরা নামক স্থানে আলাদা দল গঠন করে । আর এ দলের নেতা ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন ওহাব। আর ইসলামের ইতিহাসে এরাই খারিজি নামে পরিচিত ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রাজনৈতিক দল হিসেবে | আত্মপ্রকাশ করলেও খারিজিগণ পরবর্তীতে তা পরিত্যাগ করে ধর্মীয় সম্প্রদায়ে পরিণত হয়। পি.কে হিট্টি বলেন, “হজরত আলী (রা.) তার অনুগামীদের একটি বৃহৎ অংশের সহানুভূতি থেকে বঞ্চিত হন। যাদেরকে বলা হয় খারিজি বা বিচ্চিন্নতাবাদী।”
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খারেজি কারা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খারেজি কারা টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।
ধন্যবাদ