খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর ।
খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর |
খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের মৃত্যুর পর তার পুত্র আল মাহদী ৭৭৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি একজন সহিষ্ণু, উদার ও ক্ষমাশীল শাসক ছিলেন। | আল মাহদী পিতার কঠোর রক্তপাত নীতি পরিত্যাগ করে উদার ও শান্তিপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেন। তার প্রজাবৎসল ও মহানুভবতার জন্য তিনি ইসলামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
→ খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি : নিয়ে খলিফা আল | মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা করা হলো :
১. কারারুদ্ধ ব্যক্তিদের মুক্তিদান : খলিফা আল মনসুর যেসকল ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছিলেন আল মাহদী। এসব বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করেন। প্রজাবৎসল ও মহানুভব খলিফা হিসেবে তিনি অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ব্যক্তিদের মুক্তিদান করেন। আল মাহদী ৭৭৬-৭৭৭ সালে হজ পালনের জন্য হেজাজীদের মধ্যে ৩ কোটি দিরহাম বিতরণ করেন ।
২. শিয়াদের প্রতি উদারতা : খলিফা আল মাহদী একজন উদার ও ন্যায়পরায়ণ খলিফা ছিলেন। তিনি শিয়াদের প্রতি অত্যন্ত উদারতা প্রদর্শন করেন। খলিফা আল মনসুর শিয়া নেতা ইব্রাহিমের। পুত্র হাসানকে কারাগারে বন্দি করেন। আল মাহদী ক্ষমতায় এসে হাসানকে মুক্তি দেন এবং তার জন্য পর্যাপ্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করেন ।
৩. উমাইয়াদের প্রতি উদারতা : খলিফা আল মাহদী একজন শান্তিপ্রিয় শাসক ছিলেন। তিনি উমাইয়াদের প্রতি উদার ছিলেন। আল মাহদী উমাইয়া বংশের লোকদের ক্ষমতা করে শান্তিপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় মারওয়ানের পুত্র সিরিয়ায় বিদ্রোহ করলে আল মাহদী তাকে বন্দি করেন। এরপর কিছুদিন পর তাকে মুক্তি দিয়েছেন।
৪. জরিমানার অর্থ ফেরত : আল মাহদীর সময়ে রাষ্ট্রের অর্থ জোরপূর্বক আদায় এবং তহবিল অপচয়ের অভিযোগ ওঠে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। কিন্তু তিনি তাদের ব্যাপারে কোনো গুরুতর অভিযোগ পায়নি । এ কারণে খলিফা মাহদী তাদেরকে মুক্তি দেন।
৫. ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ : আল মাহদী পিতা আল মনসুর কঠোর রক্তপাত নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। অপরদিকে তার পুত্র আল মাহদী কঠোর রক্তপাত নীতি পরিত্যাগ করেন। তিনি বিদ্রোহ দমন করার জন্য খুব বেশি নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেননি। আল মাহদী গুরুতর বিদ্রোহীদের সঙ্গেও অত্যন্ত সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কেউ গুরুতর অপরাধ করলে তাকে বন্দি করে রাখতেন কিন্তু তিনি কখনো কাউকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেননি। সাম্রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিদ্রোহীদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আব্বাসীয় খলিফা আল মাহদী অত্যন্ত উদার, ন্যায়পরায়ণ, সহনশীল ও ক্ষমাশীল শাসক ছিলেন। তিনি একদিকে যেমন শান্তিপ্রিয় শাসক ছিলেন অপরদিকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কঠোরতা অবলম্বন করতে দ্বিধা করতেন না। আল মাহদী সাম্রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শাসনক্ষেত্রে শান্তি ও সৌহাদ্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খলিফা আল মাহদীর শান্তিপূর্ণ নীতি আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।