নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো টি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো |
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো
ভেজাল খাদ্যে বাজার সয়লাব
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঢাকাঃ ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ॥ বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের শতকরা ৪০ ভাগ খাদ্যপণ্য ভেজাল । কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, কৃষক অধিক মুনাফা লাভের আশায় এমন অপকর্ম করছে। ফলে শাকসবজি, মাছ-মাংস থেকে ফলমূল এমনকি শিশু খাদ্য ও ঔষধে ভেজাল এবং রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যকে ভয়াবহভাবে হুমকির মুখোমুখি করছে। যদিও স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রায়ই এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে কিন্তু এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টনক খুব কমই নড়ছে বলে প্রতীয়মান হয়। মাঝে মাঝে বাজারগুলোতে ভেজালবিরোধী পরিদর্শন নাগরিকদের মনকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও সেটির কার্যকারিতা সব সময় চোখে পড়ে না। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধি ও জীবনহানির ঘটনা ঘটে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৪৫ লাখ লোক খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জটিল রোগে ভোগে । জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে সম্প্রতি পাঠানো ৪৩টি খাদ্যপণ্যের ৫৩৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১১৭টিতে ভয়াবহ ভেজাল পাওয়া গেছে । সমগ্র দেশের তুলনায় রাজধানীর অবস্থা আরও ভয়াবহ। কারণ সারাদেশে খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ ৪০ শতাংশ হলেও ঢাকায় ভেজালের পরিমাণ ৭০ শতাংশ। রাজধানী ঢাকায় ভেজালমুক্ত বিশুদ্ধ খাদ্য অনেকটা সোনার হরিণের মতো দুর্লভ। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, ঘি, দুধ, চিনি, চা, মিষ্টি, ঔষধ, মধু, মসলা ইত্যাদি খাদ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে অহরহ। এমনকি মিনারেল ওয়াটার লেখা বোতলবন্দি বিশুদ্ধ পানিও ভেজালমুক্ত নয়। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্যে ভেজাল দিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মনোসোডিয়াম, ইথোফেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, চক পাউডার, ইউরিয়া, মার্জারিন, পশুর চর্বি, খনিজ তেল, রেড়ির গুঁড়া, ন্যাপথালিন, ইটের গুঁড়া, কাঠের গুঁড়া, ডিডিটি, সাইক্লোমেট ইত্যাদি। এসব ভেজাল মেশানো খাবার সবার জন্য ক্ষতিকর হলেও গর্ভবর্তী মা এবং নবজাত শিশুর জন্য রীতিমতো ভয়ংকর।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্যের তদারকি কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবলের অভাব রয়েছে। ফলে জনবল সংকটের কারণে নিরাপদ খাদ্যের নজরদারি কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে আমাদের দেশে ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যমান আইনের সঠিক বাস্তবায়নের অভাব ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. রাশেদ রহমান বলেন ‘দেশের অবস্থা এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আর কালক্ষেপণের সময় নেই । শুধু সরকার কিংবা শুধু জনগণ এটির প্রতিকার করতে পারবে না। এর জন্য ভেজালবিরোধী সামাজিক আন্দোলন যেমন দরকার তেমনি দরকার যথাযথ রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ। এ ছাড়া যেসব ব্যবসায়ী এবং কৃষক এমন অপকর্ম করে তাদের খাদ্যে ভেজালের অপকারিতা ভালোভাবে বুঝিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে । সহজে না হলে প্রয়োজনে কঠিন আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রবণতা বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।