হজরত মুহাম্মদ (সা.) - এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো , হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের , হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর টি।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর |
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে হিজরত একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আল্লাহর দ্বীন ইসলাম প্রচারে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যায়ক্রমে সাফল্যের দিকে যেতে থাকে। ঠিক তখনই কাফেররামহানবি (সা.)-এর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হামলা করার ষড়যন্ত্র করে। এমনই এক ক্রান্তিলগ্নে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবি (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ইতিহাসে এটাই হিজরত নামে পরিচিত। হিজরত মহানবি (সা.)-এর জীবনের একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। তাই হিজরতের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ফলাফল ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী।
→ হিজরতের গুরুত্ব/তাৎপর্য/ফলাফল : ইসলামের ইতিহাসে মহানবি (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের প্রভাব ও গুরুত্ব ছিল অত্যন্ত গভীর ও সুদূরপ্রসারী। নিম্নে হিজরতের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
১. ইসলামের আন্তর্জাতিকতা লাভ : মদিনায় মহানবি (সা.)-এর আগমনের ফলে ইসলাম ধর্ম আন্তর্জাতিকতা লাভ করে। তিনি ইসলামের বাণী বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দূত মারফত প্রচার করতে থাকেন। ফলে মদিনার বাইরের বিশ্ব ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে । এভাবে ইসলাম আন্তর্জাতিকতা লাভ করে ।
২. পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান : মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্রের ভিত্তি মজবুত করার মহান লক্ষ্যে মহানবি (সা.) অন্যসব মতাদর্শিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পৃথিবীর প্রথম লিখিত সনদ 'মদিনা সনদ' প্রণয়ন করেন।
৩. ধর্মভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা : আরববাসীরা এতোদিন গোত্রভিত্তিক সমাজ দেখে এসেছিল। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় এসে গোত্রভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে ধর্মভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রয়াস পেলেন। ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি বলেন, “রক্তের সম্পর্কের পরিবর্তে ধর্মের ভিত্তিতে সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা এই প্রথম।”
৪. ইয়াসরিবের নতুন নামকরণ : হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর হিজরতের পূর্বে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। হিজরতের পর আনসারগণ মহানবির (সা.) সম্মানার্থে এবং হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ইয়াসরিবের নতুন নাম রাখেন মদিন্নাতুন নবি বা নবির শহর ।
৫. হিজরি সালের প্রবর্তন : হজরত ওমর (রা.) হিজরতকে উপলক্ষ করে হিজরি সনের প্রবর্তন করেন। হিজরত একটি তাৎপর্যপূর্ণ তারিখ, যেখান থেকে হিজরি সন গণনা করা হয়। আরবি সাল গণনার ক্ষেত্রে হিজরি সালের গুরুত্ব অপরিসীম।
৬. রাষ্ট্র গঠন : মদিনায় গিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম বিভিন্ন গোত্রের মধ্যকার কলহ ও সর্বপ্রকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে সব গোত্রের মধ্যে একতা স্থাপন করে একটি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। কালক্রমে একে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিভিন্ন গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনায় হিজরতের তাৎপর্য অনস্বীকার্য। হিজরতের পর থেকে- ইসলামের প্রচার ও প্রসার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ইসলামের ইতিহাসের এক নতুন যুগের সূচনা করে । সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, হিজরত হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সফলতার চাবিকাঠি এবং আদর্শ বাস্তবায়নের সহায়ক ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ,হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনায় গুরুত্ব উল্লেখ কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।