তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন টি।
তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন |
তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২৯ এপ্রিল, ২০২২
বরাবর
নোয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজ; প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা ২২/
অধ্যক্ষ
চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ যশোর ।
বিষয়: কলেজ গ্রন্থাগার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ।
সূত্র: চৌ.ডি.ক./০৮/০৪/২০২২
জনাব,
২৫ এপ্রিল, ২০২২
আপনার প্রেরিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর জেলার চৌগাছা ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরি সরেজমিনে জরিপ করে লাইব্রেরির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার সদয় অবগতির জন্য নিবেদন করছি।
কলেজ লাইব্রেরির সংস্কার প্রয়োজন
কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরই কলেজ লাইব্রেরি স্থাপিত হলেও বর্তমানে কলেজ লাইব্রেরির অবস্থা খুবই করুণ। বইয়ের সংখ্যাও কম। তার ওপর রয়েছে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। কলেজ উন্নয়নের সাথে সাথে কলেজ লাইব্রেরির উন্নয়ন মোটেও হয়নি। ছাত্রের সংখ্যা এবং বইয়ের প্রয়োজন বাড়লেও বইয়ের সংখ্যা বাড়েনি, বরং কমেছে। অনেক ছাত্র ও শিক্ষক বই নিয়েও আর ফেরত দেননি। গ্রন্থাগারিক অনেক বই খুঁজে পাচ্ছেন না, মেলাতে পারছেন না বইয়ের হিসাব। কলেজ থেকে প্রতিবছর বইয়ের জন্য টাকা বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও কলেজের আর্থিক দুরবস্থার জন্য বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। বর্তমানে কলেজের বইয়ের সংখ্যা মোট ৫০০ যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল । কলেজ গ্রন্থাগারে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতমানের বই থাকা দরকার। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পাঠগ্রহণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সহায়ক বইও থাকা প্রয়োজন । কিন্তু সেখানে অন্যান্য বইয়ের মতো রেফারেন্স বইয়েরও অভাব রয়েছে। তাছাড়া কলেজ গ্রন্থাগারের বইয়ের বিষয়, সংখ্যা ও মানের মধ্যেও সঙ্গতি নেই । এর কারণ কলেজে গ্রন্থাগারিকের পদটি শূন্য। তথ্যবিজ্ঞানের প্রভাষক অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে গ্রন্থাগারিকের দায়িত্ব পালন করেন । ফলে তিনি লাইব্রেরির জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না।
লাইব্রেরির বই রক্ষণাবেক্ষণে বৈজ্ঞানিক কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় না। সেখানে ক্যাটালগ নেই, বই ইস্যু এবং ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও অব্যবস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় 'গ্রন্থাগার বিজ্ঞান' বিষয়ে পাস করা কোনো ব্যক্তিকে গ্রন্থাগারের দায়িত্ব দিলে ভালো হয় ।
প্রয়োজনীয় সুপারিশসমূহ:
১. কলেজ লাইব্রেরিতে বইয়ের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে ।
2. ছাত্র ও শিক্ষকের প্রয়োজন মেটাতে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতমানের পর্যাপ্ত সংখ্যক বই ক্রয় করে কলেজ লাইব্রেরিতে সরবরাহ করতে হবে ।
৩. সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে অনুদান হিসেবে কলেজ লাইব্রেরির জন্য বই সংগ্রহ করতে হবে ।
8. গ্রন্থাগারিকের শূন্যপদে অবিলম্বে লোক নিয়োগ করতে হবে।
৫. কলেজ গ্রন্থাগারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দশমিক পদ্ধতিতে পুস্তকের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
৬. কার্ড ইস্যু ছাড়া কলেজ লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করা যাবে না । বই ইস্যু করার পর নির্দিষ্ট সময়ে বই ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. কলেজ গ্রন্থাগার তত্ত্বাবধানে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করা দরকার।
৮. শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজ গ্রন্থাগারের জন্য বার্ষিক চাঁদা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই চাঁদা মওকুফ করা যাবে না ।
নিবেদক
ফারুক আহমেদ, দ্বাদশ শ্রেণি,
বিজ্ঞান শাখা, চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কলেজ গ্রন্থাগার সম্পর্কে প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।