একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন টি।
একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন |
তোমার দেখা অমর একুশে গ্রন্থমেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো
একুশে গ্রন্থমেলা: সম্মিলিত প্রাণের জোয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঢাকা ॥ ১৯ মার্চ, ২০২২॥ বাঙালি চেতনা ও মননের প্রতীক অমর একুশে গ্রন্থমেলা এ বছরও করোনা মহামারিতে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রন করে প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরে উঠেছে। প্রথম সপ্তাহের আলোচিত ঘটনাপরিক্রমার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে মেলার অবস্থা আরও জমজমাট। একুশের চেতনা ও বাংলা সাহিত্যের ওপর ধারাবাহিক সেমিনার আয়োজন যেমন চলছে তেমনই দর্শক উপচেপড়া মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লোকসংগীতসহ ঐতিহ্যবাহী সংগীতানুষ্ঠান। আলোচিত ও বিখ্যাত লেখকদের বইপত্রের সাথে সাথে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতিশীল নতুন নতুন লেখকের প্রকাশনা। করোনা মহামারির কারণে আর্থিক মন্দার ফলে মেলা জমে ওঠার ব্যাপারে শুরুর দিকে সংশয় থাকলেও শেষপর্যন্ত লেখক, পাঠক, ক্রেতা, দর্শক সমন্বয়ে বইমেলা তার কিছুটা চির-গর্বিত আপন রূপটিই ফিরে পেয়েছে ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ বছরের লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আধুনিক ও নজিরবিহীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মেলা প্রাঙ্গণের সমন্বিত শৃঙ্খলাবোধ। উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর র্যাব সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর দু'দিক থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে হচ্ছে। এ বছর মেলার তৃতীয় প্রবেশদ্বার ছিল রমনা সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর দিক থেকে । এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সুশৃঙ্খলভাবে একুশের বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের এ দৃশ্যপট সত্যিই প্রশংসনীয়। মেলা প্রাঙ্গণে বেশকিছু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকায় শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ সহজ হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে আসছে।
বাংলা একাডেমি তথ্যসূত্র অনুযায়ী, এ বছর এ পর্যন্ত হাজারের অধিক নতুন বই মেলায় এসেছে। মুদ্রণজনিত বিলম্বের ফলে আরও কিছু বই আসার অপেক্ষায়। প্রতিদিনই লেখককুঞ্জে বেশকিছু নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে। এবারে প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে গল্প, উপন্যাস ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষণধর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই-পত্র রয়েছে। তবে নতুন প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে কবিতার বই-ই সর্বাধিক। তবে সর্বাধিক বেশি বিক্রি হয়েছে কম্পিউটার প্রযুক্তি ও শিশুসাহিত্যের বই। ‘পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.' সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিক্রি করা বইগুলোর মধ্যে শিশু সাহিত্যই সর্বাধিক ।
প্রখ্যাত লেখকদের পদচারণা বইমেলার গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহার মতো বয়োজ্যেষ্ঠ কবি ছাড়াও শামীম সিদ্দিকী, শামীম রেজা, মজনু শাহ, মাহবুব লিলেন, সরকার আমিন, শাহনাজ মুন্নী, এহসানুল ইয়াছিন প্রমুখ এ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল কবি-সাহিত্যিকদের দেখা মিলবে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে। একুশের বইমেলা বাংলাদেশের প্রাণের প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের চেতনা জাগরূক মাসব্যাপী এ মেলা লেখক, পাঠক, দর্শক ও বোদ্ধা সমাজের পদচারণায় মুখর এক সম্মিলিত প্রাণের জোয়ার। ফলে একুশে বইমেলার চেতনা যেন সকল প্রতিকূলতা জয় করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার দৃপ্ত অঙ্গীকার।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।