একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা টি।
একটি পূর্ণিমা রাত রচনা |
একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা
ভূমিকা: চাঁদনি রাত মানে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর সৌন্দর্যের লীলা। এ সৌন্দর্যের রূপমাধুর্য হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়। আকাশের বুক থেকে জ্যোৎস্নার বৃষ্টি ঝরে প্রকৃতির বুকে জাগিয়ে তোলে এক মোহময় রূপমাধুরী। সে মাধুরী নীরব রাতের কোল ভরে পুলকের সাথি হয়। তাকে উপলব্ধি করতে হয় রাতের নিথর স্তব্ধতায়। বসন্তের এক চাঁদনী রাত আমার সমস্ত চেতনালোকে যে পরম সৌন্দর্য অনুভবের মাধুর্যে স্নিগ্ধ করেছিল তারই বর্ণনা তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি।
চাঁদনি রাতের আবির্ভাব: বসন্তের এক বিকেলে কর্ম-কোলাহল মুখরিত লোকালয় থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃতির প্রাণমাধুর্য উপভোগ করতে নদীর তীরে বসে আছি। মৃদুমন্দ বাতাস নদীর শান্ত জলের পরশ মেখে হৃদয়ে এক অনন্য পুলক জাগিয়ে তুলল। ঝাউবন থেকে ভেসে আসা কোকিলের কুহুতান মনের ভাবাবেগকে দোলা দিয়ে গেল। দেখি, পৃথিবীর সমস্ত কর্মচঞ্চলতা থামিয়ে দিয়ে সূর্য তলিয়ে যাচ্ছে দূর দিগন্তের অতল গভীরে সূর্য অস্ত গেলে প্রকৃতির বুকে যে কালো আঁধার নেমে আসার কথা ছিল তার বদলে দেখা গেল মায়াময় এক রুপালি আলোর অমূর্ত স্ফুরণ। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখি, পূর্ব আকাশের বুক চিরে বসন্তের দ্বাদশী চাঁদ জোৎস্নার অপরূপ সুধা নিয়ে জেগে উঠেছে, তার মায়াবী আলোয় ছড়িয়ে পড়েছে অনাবিল আনন্দ । চাঁদের রূপালি জ্যোৎস্নার কোমল আলোর পরশে পৃথিবী ধন্য হয়ে গেল ।
চাঁদনি রাতের প্রকৃতি: চাঁদনি রাতের প্রকৃতি এক মায়াময় সৌন্দর্যের রানি। আকাশের বুক থেকে জ্যোৎস্নারাশি সারা প্রকৃতির বুকে ছড়িয়ে পড়ে এক মোহময় রূপমাধুর্য জাগিয়ে তুলেছে। জ্যোৎস্নার অজস্র ধারায় স্নাত হচ্ছে নীরব প্রকৃতি। হাজারো তারার মালা চাঁদের চারদিকে ঘিরে থেকে জ্যোৎস্নার রহস্যময়তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যে চারদিক কানায় কানায় পূর্ণ। গাছের পাতার ফাঁক গলে জ্যোৎস্নার অমিয় সুধা আমার শরীরের ওপর লুটোপুটি খাচ্ছে, আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে আছি প্রকৃতির পানে, আমার সে দৃষ্টি খুঁজে ফেরে প্রকৃতির সৌন্দর্যের গভীরতা। মনে হলো বিশ্বস্রষ্টা তার সমস্ত সৌন্দর্যের ভান্ডার উজাড় করে দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন এ জ্যোৎস্না রাতকে।
চাঁদনি রাতের বিচিত্র অনুভূতি: নদীর তীরে বসে বসে দেখছি জ্যোৎস্নার রূপ। শূন্য মাঠের বুকে, নদীর জলে জ্যোৎস্নার সে কী মায়াবী আলোর খেলা। আমার সমস্ত মন আকুল হয়ে ওঠে। সে আকুলতা সুন্দরের আকুলতা। আকাশজোড়া জ্যোৎস্নার আলপনা আর শুভ্র চাদরে মোড়া প্রকৃতির অপরূপ শোভা আমার হৃদয়ে অজানালোকের গভীর ভাবের প্রকাশ ঘটায়। মনে মনে বলে উঠি— 'এমন চাঁদের আলো আহা মরি সেও ভালো সে মরণ স্বর্গ সমান।”
আমার মাঝে কোনো লেখনীসত্তা নেই। তবু ভাবলোকের দুয়ার খুলে আমার মন উড়ে যেতে চায় এক অজানা জগতে। আজ জ্যোৎস্না রাতের মাধুরী আমার চেতনালোকে আমার অনুভবে যেভাবে ধরা দিয়েছে এর আগে এত গভীরভাবে কখনো ধরা দেয়নি। জ্যোৎস্নারাতের প্রকৃতির সৌন্দর্যের অতল গহ্বরে ডুবে গেছে আমার সমস্ত মনঃপ্রাণ। আজকের এ জ্যোৎস্নারাতে আমার এ একাকিত্ব অনুভবে অন্তরঙ্গ হলো, জীবনে এক পরম পাওয়ার তৃপ্তিতে মন থেকে উচ্চারিত হয়—
হৃদয় আমার নাচেরে
আজিকে ময়ূরের মতো নাচেরে ।
জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা ও রোমান্টিকতা আমাকে মুগ্ধ করে দেয়। আমার হৃদয়ের সমস্ত কাঠিন্য ও অসারতা দূর হয়ে এক রোমান্টিক ভাবের উদয় হয়। আমি হারিয়ে যাই জ্যোৎস্নার অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে। জ্যোৎস্নার উপচে পড়া স্নিগ্ধতা আমাকে রোমান্টিক স্মৃতির জগতে নিয়ে যায়। আমি মিশে যাই প্রকৃতির মাঝে, অন্য এক চেতনালোকে। কখন যে সময় গড়িয়ে গেছে টের পাইনি। হৃদয়ের নিভৃত কোণে লালিত জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যে মন আনন্দে উদ্ভাসিত হলো। মনে হলো জ্যোৎস্নার এ অপরূপ মাধুরী না দেখলে আমার জীবন অপূর্ণ থেকে যেত ।
উপসংহার: প্রকৃতির নিয়মেই আকাশে চাঁদ ওঠে, জ্যোৎস্না ছড়ায়। কিন্তু সে রাতে আমি যেভাবে জ্যোৎস্নার সৌন্দর্য উপভোগ করেছি তা আমাকে পরম পাওয়ার তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ করে দিয়েছে। জ্যোৎস্নার এ সৌন্দর্য চিরদিনই মানুষের হৃদয়ে আলোর ফুলঝুরি ছড়িয়ে দেয়, মধুরতার বৃষ্টি ঝরায়। জ্যোৎস্না রাতের একাকিত্ব মানুষকে এক ভাবের চেতনালোকে নিয়ে যায়, হৃদয়ে সৌন্দর্যের সুধা ঢেলে দেয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই একটি পূর্ণিমা রাত রচনা | একটি চাঁদনি রাত রচনা টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।