ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ টি।
ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ |
ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: প্রতিধ্বনির নিজস্ব কোনো অস্তিত্ব নেই। ধ্বনি থেকেই প্রতিধ্বনির উৎপত্তি। অথচ প্রতিধ্বনি ধ্বনির এ ঋণ অস্বীকার করে। বিচিত্র মানব-চরিত্রে এ রকম অকৃতজ্ঞতার প্রতিকৃতি কখনো কখনো সুস্পষ্টভাবে 'বিধৃত হয় ।
সম্প্রসারিত ভাব: উপকারীর উপকারকে অস্বীকার করার প্রবণতা আমাদের বাস্তব জীবনে প্রায়ই দেখা যায়। কবিতায় ব্যবহৃত রূপকটি হলো ধ্বনি এবং প্রতিধ্বনির। ধ্বনি না থাকলে প্রতিধ্বনির অস্তিত্ব সম্ভব নয়। কোনো নির্জন পাহাড়ের গুহায় বা বড় বাড়ির নির্জন বিশাল প্রকোষ্ঠে যদি কোনো ধ্বনি উচ্চারিত হয়, সে ধ্বনি সাথে সাথে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়। প্রতিধ্বনি যেমন ভুলে যায় যে, ধ্বনি না থাকলে তার অস্তিত্বটাই সম্ভব হতো না, অনুরূপভাবে পৃথিবীর মানুষগুলোও তাদের পুরনো দিনের কথা ভুলে যায়। বিপন্ন মানুষ মানুষের কাছে এসে আর্তকণ্ঠে সাহায্য প্রার্থনা করে। তার সাহায্য প্রার্থনায় মানুষের সাড়াও পাওয়া যায়। বিপন্নকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য মানুষ নিজের জীবন তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিপন্নকে উদ্ধার করে অন্তরে লাভ করে পরম পরিতৃপ্তি। যারা প্রকৃত পরোপকারী তারা তাদের দানের জন্য কোনো প্রতিদানের প্রত্যাশা রাখে না। কিন্তু মানব-চরিত্র বড় বিচিত্র। যে উপকারীর উপকারের সাহায্যে বিপন্ন ব্যক্তির বিপদ উত্তরণ ঘটে, সে উপকারীর উপকার তো স্বীকার করেই না, উপরন্তু তাকে বিদ্রুপ করে, তার স্বাভাবিক মহত্ত্বকে করে উপহাস। উপকারীর উপকার স্বীকারে যে অমূলক আত্মগ্লানি তার অন্তরে জেগে ওঠে, তার হাত থেকে নিষ্কৃতি লাভের সহজতম উপায় হলো উপকারী ব্যক্তিকে উপহাস করা। এভাবে পৃথিবীর অমর আলোক-শিখাগুলো গলা টিপে হত্যা করার জন্য কৃতঘ্নরা থাকে সদা সক্রিয়। অবশেষে তাদের স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়।
মন্তব্য: জগতের কৃতঘ্নদের শতকৃতঘ্নতা উপেক্ষা করে প্রকৃত উপকারী ব্যক্তি তার জীবন বিপন্ন করে হলেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে। এ কলুষিত বিষাক্ত পৃথিবীতে তারাই তো একমাত্র আশা-ভরসা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ টি। যদি তোমাদের আজকের এই ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।