তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন টি।
তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন |
তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন
১৭ এপ্রিল, ২০২২
বরাবর
অধ্যক্ষ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ঢাকা ।
বিষয়: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে প্রতিবেদন।
সূত্র: ভি.ন.ক/৮ ৭/০৪/2022
জনাব,
১৫ এপ্রিল, ২০২২
আপনার আদেশক্রমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি যে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান হয়ে গেলো সে সম্পর্কে আপনার সমীপে নিম্নোক্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করলাম ।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
গত ১৪ই এপ্রিল, ২০২২ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯' উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, বৈশাখী মেলা, বইমেলা, স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে কলেজ মাঠ চমৎকারভাবে সাজানো হয়। কলেজের প্রবেশ পথের প্রধান তোরণে ‘বাংলা নববর্ষ” খুব বড় করে লেখা হয়, যা অনেক দূর থেকে দেখা যায়। প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী মহোদয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'বাংলা নববর্ষ একটি সর্বজনীন এবং জাতীয় উৎসব। আমাদের জাতিসত্তার সাথে এ উৎসব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। জাতি হিসেবে আমাদের স্বকীয়তার অন্যতম স্মারক বাংলা নববর্ষ। নববর্ষ আমাদের জীবনকে নতুনভাবে উদ্দীপ্ত করে, আমরা পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। অতীতের ব্যর্থতা, গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুনের আহ্বানে জেগে উঠি, স্বপ্ন দেখি নতুন দিনের। বাংলা নববর্ষ আমাদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।' বাংলা নববর্ষ আমাদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে বলেও প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাঙালির মনে বাংলা নববর্ষের প্রভাব অতুলনীয় !
বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলা নববর্ষের উৎসবের সঙ্গে আমাদের গৌরবময় অতীত ও ঐতিহ্যের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি, জীবন সুন্দর করে গড়ে তোলার প্রেরণা পাই। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শত হতাশার মধ্যেও এ উৎসব আমাদের আশান্বিত করে। জাতীয় জীবনে নতুন চেতনার সৃষ্টি করে বলেই আমরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করে নিই, গেয়ে উঠি 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।"
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি কলেজ মাঠে আয়োজিত বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন । এতে কুটিরশিল্পজাত বিভিন্ন সামগ্রীর সমাবেশ ঘটে। এ ছাড়াও মেলার বিভিন্ন দোকানে বাঁশ, বেত ও মাটির তৈরি পণ্য এবং নানা রকমের দেশীয় খাবার দেখা যায়। বিনোদনের নানা উপকরণ মেলাকে বেশ উপভোগ্য করে তোলে। মেলায় প্রচুর দর্শনার্থীরও সমাগম ঘটে। কলেজ মাঠের এক কোণে নাগরদোলার ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে শিশু- কিশোরদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। বাঁশির শব্দে আর শিশুদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলার চারপাশ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে কলেজে বইমেলারও আয়োজন করা হয়। দর্শকরা বইমেলা ঘুরে ঘুরে দেখেন। অনেকে বই কেনেন। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে স্বরচিত কবিতা পাঠেরও আয়োজন করা হয়। এতে দেশবরেণ্য বেশ কজন কবিসহ স্থানীয় কবিরা কবিতা পাঠ করেন । দেশবরেণ্য কবিদের মধ্যে কবিতা পাঠ করেন নির্মলেন্দু গুণ ও আসাদ চৌধুরী। এছাড়া সংগীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের কয়েকজন শিল্পীসহ স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন।
নিবেদক
মৌসুমী ভৌমিক
প্রভাষক, বাংলা ও আহ্বায়ক বাংলা বর্ষবরণ উদ্যাপন উপ-কমিটি
* [এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে|
আর্টিকেলের শেষকথাঃ তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তোমার কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।