১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর ।
১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর |
১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর
- ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচির গুরুত্ব লিখ
- ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর
- ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব/তাৎপর্য উল্লেখ কর।
উত্তর ভূমিকা : ১১ দফা দাবির মধ্যে ৬-দফাভিত্তিক আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের কথাই ছিল না এর সাথে সার্বজনীন ভোটাধিকার, প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি ৮টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ ঐক্যজোট গঠন করে ।
→ নিম্নে ১১ দফার দাবির গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করা হলো:
১. সংসদীয় সরকার প্রবর্তন : ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের মুখে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়।
২. প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার : ১১ দফা দাবির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের দাবি ছিল অন্যতম। ১১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাদিকার প্রদান ও এর ভিত্তিতে ১৯৭০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
৩. জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার : ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের মুখে আইয়ুব সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ১১ দফার অন্যতম দাবি ছিল জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার । অবশেষে আইয়ুব খান জরুরি অবস্থা তুলে নিতে বাধ্য হয় ।
৪. সামরিক আদেশ বাতিল : ১১ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল অগণতান্ত্রিক সকল প্রকার আদেশ বাতিল করা অবশেষে আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সামরিক পন্থা বর্জন করে ।
৫. নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা : ১১ দফ দাবির মাধ্যমে নাগরিক. অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা লাভ করে সকল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয় ।
৬. রাজবন্দির মুক্তিদান : ১১ দফার ১১ নং দফা দাবি ছিল সকল রাজবন্দি মুক্তি দান। এতে মুজিবসহ ওয়ালী খান ও ৩৪ জন আসামিকে আইয়ুব সরকার বিনাশর্তে মুক্তি দান করে ।
৭. শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার : ১৯৬৯ এর ১১ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল শ্রমিক ধর্মঘটের অধিকার। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের উপায় হিসেবে ধর্মঘট করার অধিকার প্রদান করা হয় শ্রমিক ইউনিয়নকে।
৮. ফৌজদারি ১৪৪ নং ধারা বাতিল : ১১ দফার মাধ্যমে ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৪৪ নং ধারা বাতিল ঘোষণা করেন। এতে জনগণের দাবি ও আন্দোলনের পথ প্রশস্ত হয় ।
৯. রাজনৈতিক মামলা : ১১ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল। সকল প্রকার রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এর ফলশ্রুতিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল ।
১০. সংবাদপত্রের স্বাধীনতা : আইয়ুব সরকার তার কুকীর্তি গোপন করতে ‘দৈনিক ইত্তেফাক' পত্রিকা বাতিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ছাত্র সংগ্রামের মুখে ১১ দফা দাবি উত্থাপনের মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দাবি করা হয়। ফলে আইয়ুব খান প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স অধ্যাদেশ বাতিল ঘোষণা করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১১ দফা দাবি ছিল তৎকালীন ছাত্র সমাজের। আইয়ুব সরকারের সামরিক শাসন, মনগড়া সংবিধান প্রণয়ন, জনগণের অধিকার খর্ব, নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার ও মামলা-হামলার বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের ১১টি দাবি ছিল । এতে আইয়ুব সরকার বাধ্য হয়েছিল। এই ছাত্র সমাজের ১১ দফা দাবিই ছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও পূর্ব বাংলার মানুষের সকল দাবি ফিরিয়ে আনার দাবি।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনের গুরুত্ব বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।