শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল ।
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল |
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল
উত্তর : ভূমিকা : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড শুরু করে বঙ্গবন্ধু তখনই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।
২৫ মার্চ রাত ১২ টার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হবার পূর্বেই টি এন্ড টি ও ইপিআর -এর ওয়্যালেসের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে স্বাধীনতার ঘোষণা পৌঁছে দেন।
২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ দুটোর দিকে ইপিআর অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাবাণী স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট ইউনুস আলীকে দেয়া হয়
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা : “ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, যে যেখানে আছ, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
চট্টগ্রাম ওয়্যারলেস বিভাগ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীকে বঙ্গববন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতার বার্তাটি সে রাতেই পৌঁছে দেয়।
তিনি এবং চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি জনাব এম. এ. হান্নান এ স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তার বঙ্গানুবাদ করেন। সে রাতেই তা সাইক্লোস্টাইল করে মাইকযোগে তা প্রচার করা হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের বেলাল মোহাম্মদ, সুলতান আলী ও অন্যান্যদের সাথে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আলোচনার পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ।
২৬ মার্চ দুপুর প্রায় ২টা ৩০ মিনিটের সময় জনাব এম. এ. হান্নান চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে চট্টগ্রাম বেতারের হালঘাট ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের" কর্মতৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে আবুল কাশেম সন্দ্বীপ স্বাধীনতা সম্পর্কিত ঘোষণার বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করেন।
এরপর মূল ইংরেজি ভাষণ পাঠ করেন ওয়াপদার তৎকালীন প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম। এরপর জনাব এম. এ. হান্নান পুনরায় বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা সম্পর্কিত তার ভাষণ প্রচার করেন।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যা বেলা নিকটস্থ সামরিক কর্মকর্তার মধ্যে পদমর্যাদার সিনিয়ার মেজর জিয়াউর রহমান কালুর ঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
উপসংহার : আলোচ্য আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্র ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় এবং তখন থেকে মুক্তিযুদ্ধ একটি প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা কি ছিল । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।