বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান ।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান |
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান
- অথবা, ২৬শে মার্চের রাতে কোন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়?
উত্তর : ভূমিকা : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণাই ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতা ঘোষণায় একতা হতে পেরে আওয়ামী লীগ ৭ মার্চ পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। এতে বাঙালি জাতি মানসিকভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এমতাবস্থায় পাক বাহিনী ২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এমতাবস্থায় ২৫ মার্চ মধ্যরাত অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন অতঃপর তাকে গ্রেপ্ততার করা হয়।
→ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার : আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জয়ী হলেও পশ্চিম পাকিস্তানি ক্ষমতালোভী ইয়াহিয়া ক্ষমতা হস্তান্তর করতে টালবাহানা শুরু করে। তবে শেখ মুজিব ৭ মার্চ অসহযোগ আন্দালনের ডাক দেন এবং ২৫ মার্চ রাতে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রেক্ষাপট নিচে আলোচনা করা হলো :
১. ৭ মার্চের ভাষণ : রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, 'ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।
২. অসহযোগ আন্দোলন : ১ মার্চ হতে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সরকারি-বেসরকারি, সচিবালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক, বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারের নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করে।
৩. মুজিব-ইয়াহিয়া-ভুট্টোর বৈঠক : অবস্থা উপলব্ধি করে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার শুরু করেন তখনো অসহযোগ প্রত্যাহার হয়নি।
১৯ মার্চ ভুট্টো আলোচনায় যোগ দেন। ঐকমত্যে ব্যর্থ হয়ে ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। তারপরই শুরু হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ‘অপারেশন সার্চলাইট কর্মকাণ্ড। অতর্কিত ঘুমন্ত মানুষের উপর গণহত্যা চালায় বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ।
৪. স্বাধীনতা ঘোষণা : ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকবাহিনী নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালি হত্যায় মত্ত হয়ে উঠে তখন প্রায় রাত দেড়টা অর্থাৎ ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু প্রথম প্রহরে গ্রেফতারের আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এটাই হয়তো আমার শেষ কথা। আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন। তার এ কথা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ।
৫. জাতির পিতা গ্রেফতার : বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই বঙ্গবন্ধুকে তার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি হতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পরোক্ষভাবে ও ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে প্রত্যক্ষভাবে সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সে সময় থেকেই বাঙালি জাতি সর্বত্র মোকাবিলার জন্য প্রতিরোধ গড়ে .তোলে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর বাঙালি জাতি তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যার অগ্রনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও গ্রেফতার সম্পর্কে কি জান । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।