বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন টি।
বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন |
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো
১০ মে, ২০২২
বরাবর
অধ্যক্ষ
জয়পুরহাট সরকারি কলেজ
জয়পুরহাট।
বিষয়: রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন।
সূত্র: জ.স.ক/৯৭(৩)/2022
৯ মে, ২০২২
জনাব,
সম্প্রতি জয়পুরহাট সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পর্কে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন পেশ করছি।
জয়পুরহাট সরকারি কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত
গত ৮ মে, ২০২২ (২৫ বৈশাখ, ১৪২৯) ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সেমিনার, কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজ অধ্যক্ষ জনাব আবদুর রহিম মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. করুণাময় গোস্বামী ।
প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ বিচিত্ররূপের সমাবেশে নিজেকে দেখেছেন। প্রাণের অপূর্বতা নিয়ে তাঁর অনন্য সৃষ্টিসমূহ আমাদের সামনে এসে হাজির হয় । অন্তরের সুব্যাপ্ত তাগিদে আবহমান কার্লের মানুষের সান্নিধ্য অনুভব করেছেন তিনি।'
ড. গোস্বামী বলেন, ‘সবরকম তুচ্ছতা, ভেদ, সংকীর্ণতা এবং সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজীবন ব্রতী ছিলেন অনির্বাণ প্রদীপ জ্বালানোর সাধনায়।'
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি আশরাফ মীর, কবি সৈয়দ সারোয়ার, কবি গাউসুর রহমান ও কবি সেলিম মাহমুদ ।
কবি আশরাফ মীর বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার শক্তিকে প্রমাণ করেছেন । তিনি অমর। তিনি ছিলেন আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ।'
কবি গাউসুর রহমান বলেন, “দ্বীপের চারদিকে যেমন থাকে জল, আমাদের চারদিকেও তেমনই রবীন্দ্রনাথ। তিনি ছিলেন ধ্যানস্থ, আত্মস্থ, চেতনায় গভীর মগ্ন। কার ধ্যান করতেন তিনি? শূন্যতার? অসীমের? সেই শূন্যতাও ছিল বাময় ও রূপময়। নিরুদ্দেশ সৌন্দর্যের উপাসক ছিলেন তিনি। নির্ঝরের মতো চলছে লেখা, গানও চলছে ফাঁকে ফাঁকে। সুর দেওয়া, নাটকের মহড়া, পড়া এবং পড়ানোও চলছে এরই মধ্যে এ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ।' তিনি বলেন, “কবি, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, পর্যটক, গায়ক, সুরস্রষ্টা, শিক্ষক মানুষটির তুলনা আমরা আর খুঁজে পাই না।”
সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ পার্থিব দেহ ছেড়েছেন কবেই । কিন্তু আজও কতভাবে বাঙালির প্রাত্যহিক জীবনে বেঁচে আছেন তিনি। কত স্মরণে, সৃজনশীলতায়, মননে, উচ্চারণে এত জীবন্ত আর কাউকে ভাবা যায় না। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন কবি হিমেল বরকত, বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাইফুন নাহার ও এনায়েত উল্লাহ। কবি হিমেল বরকত বলেন, ‘নিস্তব্ধতার সংগীত তো সৃষ্টি হয় রবীন্দ্রনাথের মতো মানুষের জন্যেই অরূপের গর্ভে জন্মায় রূপ । আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ দাঁড়িয়ে আছেন তাই অনড় মহিরুহের মতো।'
সাইফুন নাহার তার বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথকে ব্যাপকভাবে পঠন-পাঠনের ওপর গুরুত্ব দেন। জনাব এনায়েত উল্লাহ আমাদের দেশে রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
সভাপতির ভাষণে কলেজ অধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেন, “রবীন্দ্রনাথের দর্শন ছিল ‘যেখানে বন্ধু পাই, সেখানেই নবজন্ম ঘটে। তিনি অনুভব করেছিলেন, এখনো হয়নি খোলা আমার জীবন আবরণ, সম্পূর্ণ যে আমি রয়েছে গোপনে অগোচর ।” তিনি আরও বলেন, ‘রবীন্দ্র অনুধ্যান ও রবীন্দ্র- জীবন-দর্শন বিশ্লেষণের জন্য আজও সারস্বত সাধনা অবিরত চলছে। এ এক সুস্থ অন্বেষণ।' সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী খলিল উল্লাহ বলেন, “চারদিকে অমানবিক হানাহানি ও কুৎসিত জাতি বৈরিতার মুখোমুখি এক সংকটময় অবস্থায় অতিবাহিত হচ্ছে আমাদের জীবন । আমরা যদি রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল সৃষ্টিশীলতার, মননশীলতার প্রদীপ জ্বালাতে পারি, তাহলে সামাজিক তমসা অনেকটা অপসারিত করতে পারব।'
সেমিনার শেষে বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুমিতা সাহা ও ফাহমিদা খাতুন পরিবেশিত রবীন্দ্রসংগীত এবং আবৃত্তিকার ঝর্ণা সরকারের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' কবিতার আবৃত্তি। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে স্থানীয় তরুণ কবিরা অংশ নেন । সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদ খান ।
নিবেদক
জিসান আহসান,
আহ্বায়ক রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপন উপ-কমিটি।
* [এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন প্রতিবেদন টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।