বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর টি।
বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর |
বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর
উত্তর : ভূমিকা : বায়তুল মাল ছিল সরকারি কোষাগার। এটি সমগ্র মুসলমান তথা রাষ্ট্রের সাধারণ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। যা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হতো। এটি ইসলামি রাষ্ট্রের জাতীয় ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এটি ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বায়তুল মাল ছাড়া ইসলামি রাষ্ট্র কিছুতেই পরিচালিত হতে পারে না।
→ বায়তুল মাল : বায়তুল মাল ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থ তহবিল । বায়তুল মালের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
১. বায়তুল মালের সংজ্ঞা : বায়তুল মাল আরবি শব্দ। বায়তুল শব্দের অর্থ ঘর এবং মাল অর্থ ধনসম্পদ । বায়তুল মাল শব্দের অর্থ ধনসম্পদের ঘর। ইসলামি শরীয়ত অনুসারে ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থ তহবিল বা জাতীয় কোষাগারকে বায়তুল মাল বলা হয়। বায়তুল মালের সম্পদে ইসলামি রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। মাওলানা আব্দুর রহিম বলেন, “বায়তুল মাল শব্দটি সাধারণত রাষ্ট্রীয় কোষাগার অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বায়তুল মাল বলতে সরকারের অর্থ বিভাগীয় কর্মকাণ্ডকে বুঝায় না । পুঞ্জীভূত ধন-সম্পদকেই বায়তুল মাল বলে।”
২. বায়তুল মালের উৎপত্তি : হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পরেই রায়তুল মালের সূচনা হয়েছিল। খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.)-এর খেলাফতকালেই সর্বপ্রথম বায়তুল মাল বাস্তব রূপ লাভ করে। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর ওয়ালিদ বিন হিশামের পরামর্শে বায়তুল মালের সংস্কার ও পুনর্গঠন করেন এবং আব্দুল্লাহ বিন আকরামকে প্রধান কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন। তার সময়ে প্রদেশগুলোতেও বায়তুল মাল স্থাপিত হয়েছিল এবং প্রত্যেক প্রদেশে তিনি কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন।
৩. বায়তুল মালের শ্রেণি বিভাগ : বায়তুলমালকে সাধারণত তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা—
(ক) বায়তুলমাল আল আস হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো এতে মুসলমান ও আহলে জিম্মার সম্পদ গচ্ছিত থাকতো। এখানে যাকাত ছাড়া অন্য সব উৎসের আয় জমা করা হতো।
(খ) বায়তুল মাল আল মুসলিমীন ছিল ইসলামি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাজকোষাগার। বায়তুলমালের এ শাখার অর্থ দ্বারা রাস্তাঘাট, সেতু, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ ও এতিম ও দরিদ্রদের সাহায্য দান করা হতো ।
(গ) বায়তুল মাল আল খাস থেকে খলিফার ব্যক্তিগত ব্যয়, রাজপরিবারের সদস্য, প্রাসাদরক্ষীদের পেনশন ও ভাতা, অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের কাছে উপঢৌকন প্রেরণ ইত্যাদি এ তহবিল থেকে ব্যয় হতো।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বায়তুল মাল ছিল জনসাধারণের সম্পত্তি এতে খলিফার কোনো অধিকার ছিল না। খলিফা হজরত ওমর (রা.) শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে বায়তুল মাল নামক প্রতিষ্ঠানটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বায়তুল মাল কি ব্যাখ্যা কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।