আরবীয় জোয়ান অব আর্ক নামে পরিচিত কে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আরবীয় জোয়ান অব আর্ক কাকে বলা হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আরবীয় জোয়ান অব আর্ক কাকে বলা হয় ।
আরবীয় জোয়ান অব আর্ক নামে পরিচিত কে |
আরবীয় জোয়ান অব আর্ক কাকে বলা হয়
উত্তর : ভূমিকা : নবম শতকের শাসক ছিলেন খলিফা হারুন- অর-রশীদ। তার শাসনকালকে আব্বাসীয় শাসনামলের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তিনি অনেক বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। তার মধ্যে খারিজি বিদ্রোহ অন্যতম। আর এই খারিজি বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ওয়ালিদ ইবনে তারিকের বোনের নাম লায়লা। তিনি ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দরী ও প্রসিদ্ধ কবি। তিনিই জোয়ান অব আর্ক নামে খ্যাত ।
→ জোয়ান অব আর্ক বলার কারণ : নাসিবিনের অধিবাসী ওয়ালিদ ইবনে তারিকের নেতৃত্বে খারিজিগণ নাসিবিদ, আর্মেনিয়া আজারবাইজান ও মেসোপটেমিয়ার জুলওয়ান পর্যন্ত ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। ৭৯৬ সালে খলিফা হারুন অর রশীদ ওয়ালিদের বিরুদ্ধে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করে তাকে পরাজিত ও হত্যা করেন। ওয়ালিদের মৃত্যুর পর তার অনিন্দ্য সুন্দরী বোন লায়লা শোকগাঁথা রচনা করে আব্বাসীয়দের বিরুদ্ধে খারিজিদের উত্তেজিত করেন। খারিজিরা ইরাকে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে খারিজিদের কাছে কয়েকবার রাজসেনারা পর্যদুস্ত হন। পরে খলিফা বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। এতে খারিজিরা পরাজিত হন ও লায়লা খলিফার বশ্যতা স্বীকার করেন । তার এই বীরত্বের জন্যই তিনি জোয়ান অব আর্ক নামে খ্যাত ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খারিজি নেই লায়লা দীর্ঘদিন খলিফা হারুন অর রশিদের রাজকীয় বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেন। তিনি সামরিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার সামরিক বীরত্ব ও প্রভাবের কারণে তাকে আরবীয় জোয়ান অব আর্ক বলা হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আরবীয় জোয়ান অব আর্ক নামে পরিচিত কে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আরবীয় জোয়ান অব আর্ক কাকে বলা হয়। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।