ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী ( Agortola Mamla ki ) | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ ।
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ |
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ
- আগরতলা মামলা কি?
- অথবা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলতে কি বুঝ?
- অথবা, আগরতলা মামলাকে কেন ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়?
- অথবা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আনুষ্ঠানিক নাম কি ছিল?
- অথবা, আগরতলা মামলার বিষয়বস্তু লিখ ।
- অথবা, আগরতলা মামলা সম্পর্কে যা জান লিখ ।
- অথবা, আগরতলা মামলা সম্পর্কে একটি টীকা লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : আইয়ুব খানের শাসনামলের এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতির ময়দানে হতে নির্মূল করতে এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াই নস্যাৎ করতে পাকিস্তানি শাসকচক্র এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। ১৯৬৬ সালের ছয়-দফা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় ।
→ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ ১৯৬৭ সালের ছয়- দফাভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি যখন ব্যাপক আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের রূপ লাভ করে তখন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আন্দোলনকে স্তিমিত করার এক কূটকৌশল আবিষ্কার করেন। ১৯৬৮ সালের ৬ জানুয়ারি ২ জন সি. এস. পি অফিসারসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা আগের বছর ১৯৬৭ সালে ডিসেম্বর মাসে ভারতের আগরতলায় এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং ভারতীয়দের সহযোগিতায় পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। অভ্যুত্থান সফল করার জন্য তারা ভারতীয়দের নিকট হতে অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এই মর্মে অর্থ ও অস্ত্রের উপর একটি তালিকা ও প্রকাশ করানো হয়।
কয়েকদিনের মধ্যে দ্রব্য প্রেসনোটে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন এবং এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে। ৬ জানুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে ১৯৬৮ সালে ১৮ জানুয়ারি ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা ও পরিচালনা অভিযোগ এনে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পূর্বের ২৮ জনসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আর একটি মামলা দায়ের করা হয়। এটাই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে খ্যাত । মামলাটি সরকারি নাম ছিল 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য' । ৩৫ জন ছাড়াও আরও ১১ জনকে আসামি করা হয় কিন্তু তারা রাজসাক্ষী হতে চাইলে সরকার তাদের মুক্তি দেয়। উপযুক্ত আসামিদের প্রথমে দেশরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর ১৮ জানুয়ারি দেশ রক্ষা আইন হতে মুক্তি দিয়ে ‘আর্মি নেভী এন্ড এয়ারফোর্স এ্যাক্টে পুনরায় গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় জেল হতে কুর্মিটোলা সেনানিবাসে স্থানান্ত রিত করা হয়।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, আগরতলা মামলা প্রমাণ সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইয়ুব সরকার এ মামলার পন্থা অবলম্বন করেছিল তা স্পষ্ট। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদীর আন্দোলনের সামনে খড়কুটার মতো উড়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে আইয়ুব সরকার এ মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার করে এবং ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি নেয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কী | আগরতলা মামলা বলতে কি বুঝ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।