ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল ।
ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল |
ছয়-দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল
- অথবা, “৬-দফার মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল” ব্যাখ্যা কর ।
- অথবা, ৬-দফা দাবির মধ্যে কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ নিহিত ছিল? ব্যাখ্যা কর।
- অথবা, তুমি কি মনে কর ৬-দফা কর্মসূচিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল? যুক্তি দাও।
উত্তর ভূমিকা : পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী শুরু থেকেই নানাভাবে পূর্ববাংলার মানুষের উপর শোষণ, অবিচার ও নির্যাতন চালাচ্ছিল। এরই ফলশ্রুতিতে বাঙালিরা এ অবিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবি পেশ করেছে। এগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত ছয়-দফা কর্মসূচি একটি নির্দেশনামূলক অধ্যায়, যা পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
→ মূল আলোচনা : ছয়-দফা ঘোষণার পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে গবেষকগণ একমত হয়েছেন যে, যদিও এটি স্বায়ত্তশাসনের দাবি, এটি পরিবর্তীতে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেন। কেননা ছয়-দফা দমন করার জন্য পাকিস্তান সরকার প্রচণ্ড দমননীতি গ্রহণ করলে জনগণের মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অনুভূমি প্রবল আকার ধারণ করে এবং শেখ মুজিব হয়ে উঠেন তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। ১৯৬৮ | সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে শেখ মুজিবকে ফাঁসি দেয়ার চক্রান্ত করলে তাকে মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্ররা এগারো দফা দাবি উত্থাপন করেন। এই এগারো দফার মাধ্যমে ছয়-দফাকেও অনুমোদন করা হয়েছিল। অতঃপর ছয়-দফা ও এগারো দফার মিলিত আন্দোলন দেশের গণঅভ্যুত্থান ঘটায়। স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতন ঘটে। নতুন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান জনতার দাবির মুখে শেখ মুজিবসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দেয় এবং নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছয়-দফাকে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার হিসেবে প্রচারণা চালায় । আর দক্ষিণ পন্থি দফাসমূহসহ পাকিস্তান সমর্থন দলগুলো ছয়-দফার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল। নির্বাচনে জনগণ ছয়-দফার পক্ষে রায় দেয় আর ছয়-দফার বিরোধিতাকারী দলগুলোর শোষণের পরাজয় ঘটে। নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য আওয়ামী লীগ যখন ছয়-দফার আলোকে সংবিধান প্রণয়নের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তখন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী এদেশের উপর গণহত্যা চাপিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ছয়-দফা অস্ত্রের মাধ্যমে মোকাবিলা করার পাকিস্তানি পদক্ষেপের ফলেই বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের দাবি থেকে সরে এসে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ছয়-দফা দাবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের মাগলাকাটা যেমন— উজ্বল বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনের ইতিহাসের ছয়-দফা তেমনি উজ্জ্বল। কেননা ছয়-দফাভিত্তিক আন্দোলননের মাধ্যমেই বাঙালি স্বাধীকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপরও ছয়- দফার মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বীজ লুকায়িত ছিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ছয় দফায় কি বাঙালির স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে ছিল । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।