ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন ।
ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন |
ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন
- ছয়-দফার বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ
- সংক্ষেপে ৬-দফার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : বাঙালি জাতির ইতিহাসে ৬-দফা দাবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ৬-দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এটি ছিল তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি যৌক্তিক দাবি। স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত ৬-দফা সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। বাঙালি জাতি ৬-দফা আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে, এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করে।
০৬-দফার বৈশিষ্ট্য : নিম্নে ৬-দফার বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি : ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্য একটি প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্রের প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে গঠিত কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলো হবে সার্বভৌম ।
২. ফেডারেল (কেন্দ্রীয়) সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্ৰীয় সরকারের হাতে থাকবে শুধু দুটি বিষয়— প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক অবশিষ্ট সমস্ত বিষয় স্টেটসমূহের হাতে থাকবে।
৩. মুদ্রা ও অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা : সারাদেশে অবাধে বিনিয়োগযোগ্য দু'ধরনের মুদ্রা না হলেও বিশেষ শর্তে একই ধরনের মুদ্রা চালু থাকবে।
৪. রাজস্ব, কর ও শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা : আঞ্চলিক সরকার সকল প্রকার কর ধার্য করবে এবং প্রাদেশিক সরকার কেন্দ্রকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের রাজস্ব দিবে।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা : অঙ্গরাজ্যগুলো নিজের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার মালিক হবে এবং নির্ধারিত অংশ তারা কেন্দ্রকে দিবে।
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা : প্রতিরক্ষায় পূর্ব- বাংলাকে স্বাবলম্বী করবার জন্য আধা-সামরিক রক্ষীবাহিনী গঠন, অস্ত্র কারখানা স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় নৌবাহিনীর সদর দফতর পূর্ব-বাংলায় স্থাপন করতে হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি প্রণয়ন করেন। লাহোরে ৬-দফা দাবি উত্থাপনে ব্যর্থ হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর ৬-দফা ঘোষণা করেন এবং দেশে ফিরে আসেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬-দফা উত্থাপিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা গৃহীত হয়। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটে ৬-দফা দাবি ছিল একটি যৌক্তিক দাবি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করুন । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।