২১ দফা গুলো কি কি | যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিগুলো লেখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ২১ দফা গুলো কি কি | যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিগুলো লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কি কি | ২১ দফার প্রথম দফা কি ছিল ।
২১ দফা গুলো কি কি | যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিগুলো লেখ |
২১ দফা গুলো কি কি | যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিগুলো লেখ
- যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবিগুলো সম্পর্কে আলোচনা কর।
- অথবা, ২১ দফা কর্মসূচি কি?
- অথবা, যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচি কী কী?
- অথবা, যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচি উল্লেখ কর।
- অথবা, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচি বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : ভূমিকা : ১৯৫৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত য় হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিল মুসলিম লীগ সরকার। কিন্তু পূর্ব ই পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক-শ্রমিক . পার্টি, নেজামী এছলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। আর তাই মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করাই এ সংগঠনগুলোর অভিপ্রায় ছিল। যৌথভাবে যুক্তফ্রন্ট নামক একটি নির্বাচনি বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যুক্তফ্রন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তফ্রন্ট যে ২১ দফা দাবি উত্থাপন করেছিল সেগুলো তৎকালীন সময়ে বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
→ যুক্তফ্রন্টে ২১ দফা : ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২১ দফায় তার দাবিগুলো উত্থাপন করে। যুক্তফ্রন্টের নীতি ছিল কুরআন এবং সুন্নাহর নীতিকে অবমাননা করে কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না এবং ইসলামের সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বকে বজায় রেখে জনগণের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ নীতিকে সামনে রেখে যুক্তফ্রন্ট বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য ২১ দফা দাবি উত্থাপন করে। এ ২১ দফা দাবি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :
১. রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা;
২. জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ ও কর হ্রাস;
৩. পাটের ন্যায্য মূল্য প্রদান;
৪. কুটিরশিল্পের উন্নতি;
৫. লবণ তৈরির কারখানা স্থাপন;
৬. বাস্তুহারাদের পুনর্বাসন;
৭. খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা;
৮. খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা;
৯. বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তন;
১০. শিক্ষার সংস্কার সাধন;
১১. বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান;
১২. আয়ের সামঞ্জস্য বিধান;
১৩ আয় ব্যয়ের হিসাব;
১৪. কালাকানুন রহিত;
১৫. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ;
১৬. বর্ধমান হাউসকে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত ;
১৭. শহিদ মিনার নির্মাণ;
১৮. শহিদ দিবসকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা;
১৯. পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা;
২০. মন্ত্রিসভার পদত্যাগ ও
২১. উপনির্বাচনের ব্যবস্থা ।
১. রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা : পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এটাই যুক্তফ্রন্টে ২১ দফা দাবির প্রথম দাবি ছিল।
২. জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ ও কর হ্রাস : ২১ দফা দাবির দ্বিতীয়টিতে বলা হয়েছে, জমিদারি এবং খাজনা আদায় প্রথা বন্ধ করতে হবে এবং বিনা ক্ষতিপূরণে ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বাড়তি জমি বণ্টন করতে হবে। উচ্চহারে খাজনা গ্রহণ করা যাবে না। সার্টিফিকেট যোগে খাজনা আদায় করার যে প্রথা প্রচলিত আছে তা বন্ধ করতে হবে।
৩. পাটের ন্যায্য মূল্য প্রদান : যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবির তিন নং দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছে পাট ব্যবসাকে জাতীয়করণ করতে হবে। আর এ উদ্দেশ্যে এ ব্যবসাকে পূর্ববঙ্গ সরকারের অধীনে রাখতে হবে যাতে করে পাট চাষিরা পাটের মূল্য সঠিকভাবে পায়। এছাড়া লীগ মন্ত্রিসভা আমলে পাট কেলেঙ্কারির সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদেরকে তদন্ত করে খুঁজে বের করতে হবে এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ব্যক্তিরা অসদুপায় অবলম্বন করে যে সম্পত্তির মালিক হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৪. কুটিরশিল্পের উন্নতি : কৃষির উন্নতির লক্ষ্যে সমবায় কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন ঘটাতে হবে এবং কুটিরশিল্প ও হস্তশিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে সরকারকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে। এ বিষয়গুলো চার (৪) নং দাবিতে স্পষ্ট হয়েছে।
৫. লবণ তৈরির কারখানা স্থাপন : লবণ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে পূর্ববঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার সমস্ত কুটিরশিল্প এবং বৃহৎ শিল্প ব্যবস্থায় লবণ তৈরির কারখানা স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। মুসলিম লীগ সরকারের আমলে লবণের কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং অসদুপায়ে তাদের অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অধীনে আনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলো যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবির পাঁচ নং দাবিতে উল্লিখিত আছে ।
৬. বাস্তুহারাদের পুনর্বাসন : শিল্প এবং কারিগরির অধীনস্থ গরিব এবং অসহায় মোহাজেরদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের পুনর্বসতির ব্যবস্থাও করতে হবে। এ বিষয়গুলো ৬নং দাবির অন্তর্ভুক্ত।
৭. খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা : সাত নং দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশ বন্যা ও দুর্ভিক্ষের ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা : আট (৮) নং দাবিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, শিল্প ক্ষেত্রে পূর্ববঙ্গকে উন্নত করার লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক উপায়ে শিল্পকে পরিচালিত করতে হবে। যাতে করে শিল্পে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন সময়কার পূর্ববঙ্গ স্বাবলম্বী হতে পারে। কৃষিক্ষেত্রে পূর্ববঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পূর্ববঙ্গের কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিক উপায়ে পরিচালিত করতে হবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংঘের মূলমন্ত্র অনুযায়ী সকল শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তন : নয় (৯) নং দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, পূর্ববঙ্গের সর্বত্র প্রাথমিক শিক্ষাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের প্রাপ্ত ন্যায্য বেতন এবং ভাতার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়েছে যুক্তফ্রন্টের ৯ (নয়) নং দাবিতে ।
১০. শিক্ষার সংস্কার সাধন : দশ (১০) নং দাবিতে বলা হয়েছে যে, আদিম ও প্রাচীন যুগের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিচালিত শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। এছাড়াও এ দাবিতে সরকারকে সকল বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহকে সরকারি পর্যায়ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তাদের প্রাপ্ত ন্যায্য বেতন এবং ভাতার ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
১১. বিশ্ববিদ্যালকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান : ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে বাতিল করে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে যাতে উচ্চশিক্ষা আরও সহজলভ্য হয়। এছাড়াও ছাত্রাবাসকে স্বল্প ব্যয়বিশিষ্ট এবং সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলো এগারো (১) নং দাবির অন্তর্ভুক্ত ।
১২. আয়ের সামঞ্জস্য বিধান : বার (১২) নং দাবিতে উল্লিখিত আছে যে, উচ্চ বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতন কমাতে হবে এবং নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের বেতন বাড়াতে হবে যাতে করে তাদের আয়ের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য বিধান হয়। শাসন ব্যয় যথাসম্ভবভাবে কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও যুক্তফ্রন্টের অধীনস্থ কোন মন্ত্রীর বেতন এক হাজার টাকার বেশি করা যাবে না।
১৩. আয়-ব্যয়ের হিসাব: তের (১৩) নং দাবিতে উল্লিখিত আছে, দুর্নীতি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ঘুষ এবং স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি বিষয়গুলোকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এ লক্ষ্যে ১৯৪০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল সরকারি এবং বেসরকারি কর্মচারীদের আয়ের হিসাব নিতে হবে এবং অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের সম্পত্তি সরকারের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে রাখতে হবে।
১৪. কালাকানুন রহিত : ১৪ নং দাবিতে বলা হয়েছে যে, জননিরাপত্তামূলক আইন, অর্ডিন্যান্স প্রভৃতি যেসব নিয়মনীতি প্রচলিত আছে তা বন্ধ করতে হবে, তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদেরকে প্রকাশ্য আদালতে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে। সংবাদপত্র ও সভা সমিতি করার সুযোগ দিতে হবে।
১৫. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অর্থাৎ বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগের অধীনে রাখা যাবে না। এটা ছিল যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবির ১৫ নং দাবি ।
১৬. বর্ধমান হাউসকে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত : প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসবহুল বাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউসকে আপাতত ছাত্রাবাসে পরিণত করতে হবে। পরবর্তীতে বর্ধমান হাউসকে বাংলা ভাষা গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবির ষোল (১৬) নং দাবির আওতাভুক্ত ছিল।
১৭. শহিদ মিনার নির্মাণ : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যারা মুসলিম লীগের গুলিতে শহিদ হয়েছে তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ঘটনাস্থলে একটি শহিদ মিনার স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও এসকল শহিদদের পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। উক্ত বিষয়গুলো সতের নং দাবির আওতাভুক্ত ছিল।
১৮. শহিদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা : বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে যে ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটির দিনের তালিকাভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়সমূহ ১৮ নং দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
১৯. পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা : লাহোর প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত এবং সার্বভৌমিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু বিষয় যেমন দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং মুদ্রাব্যতীত অন্যান্য সমস্ত ক্ষমতাসমূহ পূর্ববঙ্গ সরকারের হাতে ন্যস্ত করতে হবে। দেশ রক্ষা বিভাগের স্থলবাহিনীর হেডকোয়ার্টার পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনে রাখতে হবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানেই স্থাপন করতে হবে আর নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার পূর্ব পাকিস্তানের আওতাভুক্ত হতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানে স্থাপন করতে হবে। পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র নির্মাণের মাধ্যমে আত্মরক্ষার দিক থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে উন্নত করতে হবে। আনসার বাহিনীকে সশস্ত্র বাহিনীর তালিকায় স্থান দিতে হবে। এ বিষয়সমূহ উনিশ (১৯) নং দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছিল ।
২০. মন্ত্রিসভার পদত্যাগ : যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা কোনোভাবেই আইন পরিষদের নির্ধারিত সময়কাল বৃদ্ধি করবে না। আইন পরিষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং নির্ধারিত সময়কালের ছয় মাস পূর্বে মন্ত্রিসভা ত্যাগ করে নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়সমূহ বিশ (২০) নং দাবির আওতাভুক্ত ছিল ।
২১. উপনির্বাচনের ব্যবস্থা : যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা চলাকালীন সময়ে শূন্য আসন পূরণ করার জন্য উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যুক্তফ্রন্ট কর্তৃক নির্বাচিত প্রার্থী যদি পর পর তিনবার পরাজিত হয় তবে মন্ত্রিসভাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। এসব বিষয়সমূহ যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা দাবি তথা সর্বশেষ দাবির আওতার্ভুক্ত ছিল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত ২১ দফা দাবি পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, যুক্তফ্রন্ট গঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল পূর্বপাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার বৈষম্যকে দূর করা। আর এ লক্ষ্যেই যুক্তফ্রন্ট ২১ (২১) দফা দাবি | উত্থাপন করে। পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনে পূর্ব পাকিস্তান পরিচালিত ছিল তৎকালীন সময়ে। যার কারণে পূর্ব পাকিস্তানিরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের তুলনায় সকল সুযোগ-সুবিধা কম পেত। আর এসব বিরোধের আশু প্রতিকার করার উদ্দেশ্যেই যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। যুক্তফ্রন্ট গঠন করার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানিরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ২১ দফা গুলো কি কি | যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিগুলো লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কি কি | ২১ দফার প্রথম দফা কি ছিল । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।