অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু ক্ষুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প টি।
অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প |
অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প
আমি আর মতিন ছোটো থেকেই একসঙ্গে বড়ো হয়েছি। ঘুমের সময় ছাড়া বাকি সময়টুকু দুজনে প্রায় একসঙ্গেই থাকি। একই কলেজে পড়ি, একসঙ্গেই যাতায়াত করি। মতিন একটু চুপচাপ ধরনের। আমি আবার কথা না বলে থাকতে পারি না। বেশি কথা বলার কারণে প্রায়ই ও আমার ওপর বিরক্ত হয়। নানা কটুকথাও বলে। এগুলো শুনে আমার মন খারাপ হয়। কিন্তু সে মন খারাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আবার আমি ওর কাছে যাই । দুজনে সব ভুলে আবার আগের মতো থাকি। কেউ কেউ আমাদের মানিকজোড় বলে। মানিকজোড় কিনা জানি না কিন্তু দুজনেই দুজনের সঙ্গে থাকতে খুব পছন্দ করি। একবার আমার খুব শরীর খারাপ হলো । জ্বরের ঘোরে আমি উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকলাম। মাঝে মাঝেই ঘোরের মধ্যে মতিনের নাম বলতে থাকলাম। আমাদের বাড়ি থেকে মতিনের খোঁজও করা হলো, কিন্তু ওর দেখা পাওয়া গেল না। অনেকদিন শয্যাশায়ী ছিলাম, কিন্তু মতিন একদিনও আমাকে দেখতে এলো না। এগুলো ভেবে আমার খুব কষ্ট হলো। কিন্তু কাউকে কিছু বলতেও পারলাম, না। একটু সুস্থ হতেই বাড়ির বাইরে বের হতে শুরু করলাম। তারও ক'দিন পরে কলেজে গিয়ে মতিনের সঙ্গে দেখা হলো। হাসিমুখ নিয়ে ও কথা বলার জন্য এগিয়ে এলো। কিন্তু আমি কোনো কথা বললাম না। পেছন থেকে অনেকবার ডেকেছিল আমাকে কিন্তু সাড়া দিইনি। সন্ধেবেলায় এসব ভাবতে ভাবতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। হঠাৎ চার- পাঁচটা ছেলে আমার পথ আগলে দাঁড়ায়। আমার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও অন্য জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমিও প্রাণপণে বাধা দিই। কিন্তু অতজনের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। খানিক দূর থেকে মতিনের গলা শুনতে পেলাম। ও দৌড়ে আসছে এদিকে। ওকে দেখে ছেলেগুলো সতর্ক হয়ে গেল । একজন পকেট থেকে একটি ধারালো অস্ত্র বের করল। মতিন ওদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে লাগল। আমিও নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে লাগলাম। এক পর্যায়ে মতিনের হাতের খানিকটা অংশ কেটে রক্ত ঝরতে লাগল। ততক্ষণে দু-একজন এদিকে দৌড়ে আসতে শুরু করেছে। অবস্থা টের পেয়ে ছেলেগুলো পালিয়ে গেল । আমি মতিনকে নিয়ে দ্রুত একটি ওষুধের দোকানে গিয়ে ওর ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধার ব্যবস্থা করলাম। তারপর একটা রিকশা নিয়ে দুজনে এসে আমাদের বাড়িতে নামলাম। সবকিছু শুনে বাড়ির সবাই মতিনকে বাহবা দিতে লাগল । কিন্তু আমি যেন কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। ওকে আমার সঙ্গে এতদিন দেখা না করার কারণ জিজ্ঞেস করলাম । জানতে পারলাম, ওর নানা মারা গিয়েছিল। সেখানেই ছিল ও। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। তারপর ভুল ভাঙল, ওকে জড়িয়ে ধরলাম আমি। উপলব্ধি হলো, সত্যিকারের বন্ধু কখনো বিপদে চুপ করে বসে থাকে না ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু ক্ষুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।