নিয়তি খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিয়তি খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি নিয়তি খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিয়তি খুদে গল্প টি।
নিয়তি খুদে গল্প |
নিয়তি খুদে গল্প
সকাল থেকে আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ছড়াছড়ি। সারাদিন ঝড়ো হাওয়া বইছিল । অজানা আশঙ্কায় শিউরে ওঠে আমেনার মন। দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। দরিদ্রতার কারণে ঘরে দু'বেলার বেশি খাবার জোটে না। তার স্বামী রিকশাচালক জমির মিয়া গত বছর শীতে মারা গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর আমেনা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সারাদিন ধান ভানে আর যে চাল পায় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালায় ।
আমেনার বড়ো ছেলে এবার নয় বছরে পড়ল। মেয়েটার বয়স সাত বছর আর ছোটো ছেলেটা এখনো হাঁটতে পারে না। দারিদ্র্য যেন তাদের পিছু ছাড়ে না। মনে হয় প্রকৃতি অনাবশ্যক কার্পণ্য করে আমেনাকে পরিহাস করে ।
মেঘনা নদীর পাড়ে আমেনার দোচালা একটি ছোট্ট টিনের ঘর। তাও আবার অনেক দিনের পুরোনো। আমেনার ধবলি নামে একটি গাভি আছে। খুব ভোরে দূরে ঘাস খাওয়ার জন্য সে ধবলিকে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। আকাশে গুরুগম্ভীর মেঘ এবং ঝড়ো হাওয়া দেখে আমেনার মনে অজানা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা জন্ম নেয়। চিন্তা তার একটাই— ঝড়ে যদি তার মাথা গোঁজার শেষ অবলম্বন ঘরখানা উড়িয়ে নিয়ে যায়। আবার সন্তানদের জন্যও তার ভাবনা কম নয়। মাঠে তার আদরের ধবলি । নানা আশংকায় ভীত আমেনা ঘরে বসে আল্লাহ্ নাম নিচ্ছে। হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় তার মাথার উপরের টিনগুলি উড়িয়ে নিয়ে গেল । সন্তান তিনটিকে জাপটে ধরে আমেনা শুয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর ঝড়-বৃষ্টি থামলে চোখ মেলে দেখে তার সব শেষ। ঘর-বাড়ি, গৃহস্থালি জিনিসপত্র, ধবলি সবকিছু হারিয়েছে সে। সর্বস্ব হারিয়েও দমে যায় না সে। সন্তান তিনটিকে মানুষ করে তোলার স্বপ্ন দেখে নতুন উদ্যমে পরিশ্রম শুরু করে আমেনা ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিয়তি খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিয়তি খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই নিয়তি খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।