নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প টি।
নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প |
নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প
তিন বেডের বাসায় একা থাকেন ডা. রুমানা। একরুমে তিনি থাকেন, বাকি নি দু'টোতে থাকত তাঁর দুই মেয়ে। কিন্তু জীবনের রূঢ় বাস্তবতা আজ তাঁকে নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। মেডিকেল কলেজের নামকরা অধ্যাপক তিনি। রোজকার মতো আজও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, ক্লিনিক, রোগী-এসব নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পর শরীরটা বেশ ক্লান্ত লাগছিল। কফির মগ হাতে নিয়ে তিনি যখন বারান্দার রকিং চেয়ারটায় বসলেন, তখন একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকে অতীত স্মৃতিগুলো। এমবিবিএস পাস করার পর পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করেন তিনি । ছয় বছরের সংসার জীবনে তাদের ঘর আলো করে এসেছে দুটি কন্যা সন্তান। ভালোবাসা যেন ছড়ানো ছিল তাঁদের ঘরময়। কিন্তু আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় মারা যান তাঁর স্বামী। এরপর শুরু হয় রুমানার একা জীবনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম। তাঁর মা বলেছিলেন কাউকে বিয়ে করে নতুনভাবে জীবনটাকে সাজাতে। তিনি বলেছিলেন, নিজের সুখের জন্য আমার মেয়েদের জীবন আমি অনিশ্চয়তার মুখে ফেলতে চাই না।' সবার আদেশ অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনি মেয়েদের নিয়ে নতুন করে পথ চলতে শুরু করেন। মেয়েরা একসময় বড়ো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে, কর্মজীবনে প্রবেশ করে, বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে মাকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যায় দু'জনেই। মেয়েরা বলেছিল, 'তুমি একা থাকো, আমাদের খুব দুশ্চিন্তা হয় মা। তুমি আমাদের সাথে এসে থাকলে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি।' কিন্তু জীবনের এই পর্যায়ে এসেও নিজের ব্যক্তিত্বকে সমুজ্জ্বল রেখেছেন ডা. রুমানা । একাই থেকে যান এই বাড়িটাতে। এই নিঃসঙ্গ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি । মাঝে মাঝে মেয়েরা তাঁকে দেখতে আসে। তিনিও সময় পেলে এদিক-ওদিক বেড়াতে যান। বাসায় ফিরে সময় কাটে রান্না করে, গান শুনে, টিভি দেখে, ছোটো ছোটো গাছগুলোর যত্ন করে। এভাবেই কেটে যায় দিনগুলো । কিন্তু নিঃসঙ্গ জীবনে রাতগুলো আসে মহাকালের বিস্তৃতি নিয়ে, যেন শেষ হতে চায় না এক একটি রাত। ঘুমহীন নিঃসঙ্গ রাতে তিনি অপেক্ষা করে থাকেন এক একটি সোনালি সকালের
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই নিঃসঙ্গ জীবনের খুদে গল্পW টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।