আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা টি।
আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা |
আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা
ভূমিকা: মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন কিংবা রেডিওর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সব ধরনের খবর, মুহূর্তের মধ্যেই আমরা জানতে পারছি। ঘরে বসেই ট্রেনের টিকেট বুকিং, সিডিউল কিংবা ফ্লাইটের খোঁজ-খবর রাখতে পারছি। যখন ইচ্ছা দূরবর্তী আপনজনের সাথে মোবাইলে কথা বলতে পারছি কিংবা এসএমএস ও ই-মেইলের এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছি। হ্যাঁ, এসব মুহূর্তের মধ্যেই করতে পারছি এবং এটা সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের কারণে। পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারছে। এর জন্য আমাদের শুধু দরকার ইন্টারনেট সংযোগ এবং যেকোনো কম্পিউটিভ যন্ত্র যেমন- ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ।
ইন্টারনেট কী: ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক (অন্তর্জাল) শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ইন্টারনেট। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ইন্টারনেট। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের একটি পদ্ধতি হিসেবে গড়ে উঠেছে এই সিস্টেম। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত কম্পিউটারকে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে যুক্ত করে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটার ভিত্তিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণ করা যায়। বর্তমান বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মকাণ্ডকে ইন্টারনেট এমন এক সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে যে সুতো ছিঁড়ে গেলে হয়তো পুরো বিশ্বব্যবস্থাই অচল হয়ে পড়বে ।
ইন্টারনেটের ইতিহাস: ইন্টারনেট কয়েকদিন কিংবা কয়েক মাসের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পায়নি বরং এর পেছনে রয়েছে বহু বছরের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম এবং নিরলস গবেষণা। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করে। শুরুতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের গবেষণার প্রয়োজনে এ ইন্টারনেট সিস্টেমকে কাজে লাগায়। সেসময় ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) ইন্টারনেটের দায়িত্ব নেয়। ইন্টারনেটের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা মাত্র চারটি কম্পিউটারের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন প্রথম অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর তিনটি কম্পিউটার ছিল 'ক্যালিফোর্নিয়া'য় ও একটি ছিল ‘উটাই’-য়ে। এ যোগাযোগ ব্যবস্থার নাম ছিল 'ডার্পানেট'। এরপর শুধু বিস্ময়কর সাফল্যের ইতিহাস। তিন বছর যেতে না যেতেই ডার্পানেটের নাম বদল করতে হয়। কম্পিউটারের সংখ্যা তখন চার থেকে তেত্রিশে পৌঁছয়। এর নাম রাখা হয় 'আর্পানেট' (অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস্ এজেন্সি নেটওয়ার্ক), যার উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক আক্রমণ ঠেকানোর জন্যে বৈজ্ঞানিক তথ্য আদান-প্রদান করা। সত্তর ও আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ক্রমশ চাহিদা বাড়তে থাকলে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন সর্বসাধারণের জন্য এ রকম অন্য একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করে। এর নাম দেওয়া হয় 'নেস্ফেনেট'। তিন বছরের মধ্যে নেস্কেনেটের বিস্তার সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। আর তখনই প্রয়োজন দেখা দেয় একটি কেন্দ্রীয় ‘নেটওয়ার্ক' গড়ে তোলার। গত শতকের নব্বই দশকের শুরুতে এ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। বিশ্বের মানুষ পরিচিত হয় ‘ইন্টারনেট” নামক একটি ধারণার সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নেটওয়ার্কিং কাউন্সিল কর্তৃক ১৯৯৫ সালে প্রথম ইন্টারনেট নামকরণ করা হয় ।
ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে: কোনো একটি প্রতিষ্ঠান তার প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান তৈরি করতে পারে। এবং চাইলে এই নেটওয়ার্কের সাথে অন্য নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে পারে। কিন্তু যদি ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ক ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম নীতি দ্বারা চালিত হয় তাহলে এই সংযোগ সম্ভব নয়। এটা অনেকটা আমাদের ভাষার মতো। একজন বাঙালি, একজন জাপানি, একজন ইরানি এবং একজন ফরাসিকে যদি পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয় তাহলে সেটা অসম্ভব হবে যদি তারা একে অপরের ভাষা না জানে। কিন্তু তারা সবাই যদি ইংরেজি জানে কিংবা যেকোনো একটি ভাষা জানে তাহলে সহজেই সেই ভাষায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। অতএব যোগাযোগের জন্য অবশ্যই একটি সাধারণ আদর্শ বা মান অনুসরণ করতে হবে। এই জন্য ইন্টারনেট কোনো বিশেষ সংস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না বরং এটি নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা যারা সৃষ্টি করেছে ইন্টারনেট সোসাইটি। তারাই প্রস্তুত করেছে কিছু নীতি বা নিয়ম যেগুলোকে বলা হয় প্রোটোকল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য এই প্রটোকল অপরিহার্য। একটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অবশ্যই তার নিজস্ব নিয়ম নীতির নেটওয়ার্ক প্রস্তুত করতে পারে কিন্তু যখনই এই প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে যাবে তখন তাকে অবশ্যই কিছু সাধারণ নিয়ম বা কমন রুল মানতে হবে ।
ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহার করা যায়; ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে কিছু টার্মের সাথে পরিচিত হতে হবে, যেমন: www, web browsers, web pages, websites ইত্যাদি। আমাদেরকে জানতে হবে কীভাবে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে হয়। একবার সংযুক্ত হয়ে গেলে তারপর জানতে হবে কীভাবে এটা চালাতে হয়। এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
ওয়েব ব্রাউজার: ওয়েব হলো অসংখ্য পরিমাণ তথ্যের সংকলন। প্রতিটা ওয়েব পেজে রয়েছে কিছু তথ্য এবং কিছু সংযুক্তি বা লিংক। এই লিংকে ক্লিক করলে যাওয়া যায় অন্য ওয়েব পেজে। এই ওয়েব পেজ ওপেন করার জন্য যে সফটওয়্যার প্রয়োজন তার নাম ওয়েব ব্রাউজার। প্রথম ওয়েব ব্রাউজার এর নাম হলো মোজাইক। এই ওয়েব ব্রাউজার দ্বারা শুধু লেখাপড়া করা যেত। কিন্তু বর্তমানে যেসব ওয়েব ব্রাউজার বিকশিত হয়েছে সেগুলোতে লেখাসহ ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি ওপেন করা যায়। কিছু জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার হল: নেস ক্যাপ নেভিগেটর, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, সাফারি, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, গুগল ক্রোম ইত্যাদি
ইন্টারনেটের বহুবিধ ব্যবহার: বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সভ্য সমাজের মানুষের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কেবল দৈনন্দিন জীবন নয়, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন উন্নয়নে ইন্টারনেট অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে মুহূর্তেই বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়। লেখাপড়া, গবেষণা, সাহিত্য চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, বই, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় পাওয়া সম্ভব। এটি মানুষের হাতের মুঠোয় জ্ঞানভান্ডার তথা লাইব্রেরিকে এনে দিয়েছে। পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায় । হোটেল রির্জাভেশন, টিকেট কাটা সবই সম্ভব। এছাড়াও ইন্টারনেটে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়। ঘরে বসে বিশ্ববিখ্যাত সব সিনেমা-নাটক দেখা যায় যা বিনোদনকে সুলভ করেছে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে বন্ধুত্ব স্থাপন এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাবসা-বাণিজ্য প্রসারে ইন্টারনেট এনেছে নতুন দিগন্ত। অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইনে কেনাবেচা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দিয়েছে নতুন মাত্রা। এতে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে । সংবাদপত্র এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রকেও ইন্টারনেট অনেক সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে যেকোনো জাতি, রাষ্ট্র, পরিবার এমনকি ব্যক্তি ক্ষেত্রেও সবচেয়ে অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে শিক্ষাখাত। শিক্ষার উন্নয়ন, বিকাশ ও সম্প্রসারণে ইন্টারনেট ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গবেষণার কাজে ইন্টারনেট হয়ে পড়েছে অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেকোনো বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভুল ও নির্ভরশীল মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে হাজার তথ্য জেনে নেওয়া যাচ্ছে । এ কারণেই ইন্টারনেটকে জ্ঞানের তথ্য ভান্ডার বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ও ইন্টারনেট: বাংলাদেশে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়েছে ষাটের দশক থেকে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এখানে শতকরা ৯০ ভাগ কম্পিউটার প্রকাশনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে টাইপ রাইটারের বিকল্প হিসেবে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয়। তবে তখন এর ব্যবহার ছিল খুবই সীমিত এবং তা কেবল ই-মেইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৯৬ সালে ইন্টারনেট সংযোগের প্রসার ঘটতে থাকে। ২০০০ সালের শুরুতে ইন্টারনেটের গ্রাহক ছিল প্রায় ৬০,০০০। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়ক সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়। এতে দেশে ইন্টারনেটের গতি অনেক বেড়ে যায়। ২০১৭ সাল নাগাদ সাবমেরিন ক্যাবলের দ্বিতীয় মহাসড়কে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। বর্তমানে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। সরকার ইন্টারনেটের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা: যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি যুগান্তকারী বিপ্লব নিয়ে এসেছে। ইন্টারনেট কেবল আমাদের জীবনকে সহজ করেনি বরং সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ভূমিকা রাখছে । ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিউজ গ্রুপ ব্যবহার করে মুহূর্তেই সারাবিশ্বের খবরাখবর পাওয়া যাচ্ছে। লেখালেখি ও গবেষণার কাজে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এক সময় এসব অতি প্রয়োজনীয় বইয়ের জন্য মানুষকে ছুটতে হতো দেশ- দেশান্তরে। ইন্টারনেটের সাহায্যে দেশ-বিদেশের নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসায়-বাণিজ্য সংক্রান্ত লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। ই-কমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে কেনাকাটা। উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে নিজ গৃহে অবস্থান করে। টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে রোগের তথ্য দিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ । ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত সহজ পথের সন্ধানে দিয়েছে। ব্যাংকিংখাতেও আজকাল ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টারনেট
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা: ইন্টারনেটের বহুমাত্রিক উপকারিতার পাশাপাশি এর নেতিবাচক দিকও আছে। বর্তমানে এর সাহায্যে মিথ্যা খবর, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন, মানুষকে হুমকি দেওয়া ইত্যাদি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বিষয় যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটাচ্ছে। কেউ কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা অসংখ্য কম্পিউটারকে অকেজো করে দিচ্ছে বা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। হ্যাকাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য চুরি করে বিভিন্নভাবে মানুষের ক্ষতি করছে। এছাড়াও অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। আবার ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করেও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । তবে এসবের দায় ইন্টানেটের নয়, ব্যবহারকারীর
উপসংহার: ইন্টারনেট মূলত মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিকশিত হচ্ছে সেই উদ্দেশ্যেই। তবে ইন্টারনেটের অপব্যবহারও কম হচ্ছে না। আমাদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলোকে পরিহার করে ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করতে হবে এবং অন্যদেরও ভালো কাজে উৎসাহ দিতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা টি। যদি তোমাদের আজকের এই আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা | আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।