ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প টি।
ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প |
ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প
জীবন বড়োই বিচিত্র। অনিকের এমন একদিন ছিল, যখন প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার মতো অর্থ তার ঘরে ছিল না । জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে আজ একটা ভালো চাকরি করে সে। বাবা বড়ো দুঃখে মানুষ করেছে তাকে । নয় ভাই-বোনের মধ্যে অনিক বড়ো। বাবার অনেক স্বপ্ন অনিককে নিয়ে। কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন অনিকের বাবা। আর্থিক দীনতা থাকলেও দৃঢ় মনোবলের জোরে সংসারের কষ্ট দূর করতে অনিক দিনরাত মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে । ভালো ফল নিয়ে এসএসসি, এইচএসসি সম্পন্ন করার পর অনিক গ্রাম ছেড়ে, পরিবারের সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় আসে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হয় তার। কৃতিত্বের সাথে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ হবার পর খুব ভালো একটি চাকরি হয় তার। বাবা-মায়ের কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়। সংসারে সুখের হাওয়া বইতে থাকে। এক সময় অনিক ভালো পরিবার দেখে তার ছোটো দুই বোনকে বিয়ে দেয় । সংসারে তখন আর অভাব নেই । বড়ো ছেলেকে বিয়ে করায় বাবা-মা। ঘরে নতুন বউ আর সচ্ছল পরিবারে সুখে-আনন্দে দিন কাটছিল তাদের। এর মাঝে একদিন অনিক অফিস থেকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলল, “বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও।” কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফোনের লাইন কেটে যায়। তখনই টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল বনানীর একটি ভবনের অগ্নিকাণ্ডের খবর। বৃদ্ধ বাবার আর বুঝতে বাকি রইল না কী হতে যাচ্ছে। মুহূর্তে পুরো পরিবারের অবস্থা পাল্টে গেল। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে অনিকের লাশ এলো। রাতে অনিকের লাশের সাথে দাফন হলো তার স্বপ্নগুলো । অনিকের মৃত্যুর তিন মাস পর একটি ফুটফুটে কন্যার জন্ম দেয় তার স্ত্রী। পিতৃহীন মেয়েকে নিয়ে এক নতুন সংগ্রামী জীবনের সূচনা হয় অনিকের স্ত্রীর ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প টি। যদি তোমাদের আজকের এই ডানাভাঙা স্বপ্ন খুদে গল্প টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।